
ছবি: সংগৃহীত
স্টকটন কাউন্সিলের হাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রোগ্রামগুলো “মূলত কর্মীদের কাজের ধরনে পরিবর্তন এনেছে,” এমন দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে তারা ২৫টি সংস্থার মধ্যে একটি যারা এমন এআই সিস্টেম পরীক্ষা করছে, যা সভার আলোচনার লিপিবদ্ধকরণ ও সংক্ষিপ্তসার তৈরি করে।
কাউন্সিলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পাইলট প্রকল্প ইতোমধ্যেই কাজের কাগজপত্রের পরিমাণ অনেক কমিয়েছে এবং কর্মীদের সময় বাঁচিয়েছে।
পাবলিক সেক্টরের ইউনিয়ন ইউনিসন স্থানীয় প্রশাসনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, কর্মীদের সুবিধার জন্য এবং কাজের ঘণ্টা কমানোর লক্ষ্যে এআই গ্রহণ করতে, তবে কর্মসংস্থান কমানোর জন্য নয়।
স্টকটনে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো দুটি সিস্টেম হলো ‘মিনিট’ এবং ‘ম্যাজিক নোটস’, যা সর্বোচ্চ ৪০ জনের সভার রেকর্ডিং, লিপিবদ্ধকরণ এবং সংক্ষিপ্তসার তৈরি করতে সক্ষম।
কর্মপরিকল্পনা বা অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন টেমপ্লেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করাও সম্ভব।
কাউন্সিলের ডেপুটি লিডার, লেবার পার্টির পল রোলিং জানিয়েছেন, “কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর স্পষ্ট হয়েছে যে, তাদের দৈনন্দিন কাজের ধরণ মূলত বদলে গেছে। তারা এখন প্রশাসনিক কাজে কম সময় ব্যয় করে বেশি সময় দিতে পারছে জনসেবায়।”
কাউন্সিলের ডিজিটাল ও ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার করিন মুর বলছেন, এআই সিস্টেম কর্মীদের কাজের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
“একটি উদাহরণ হলো পাবলিক প্রোটেকশনের ক্ষেত্র, যেখানে কিছু সভার লিপিবদ্ধকরণ করতে আগে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগত, এখন রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সেটা আধা ঘণ্টায় হয়ে যাচ্ছে।”
‘কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ’
ইউনিসনের এআই নীতিমালা প্রধান কেট জোন্স জানিয়েছেন, অনেক স্থানীয় প্রশাসনের কর্মী এআই সিস্টেম থেকে সুবিধা পাচ্ছেন, কিন্তু চাকরি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
তিনি বলেন, “যদি এআই ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা অবশ্যই জনসেবার উন্নয়ন এবং কর্মীদের কাজের জীবন মানোন্নয়নের জন্য হওয়া উচিত। অনেকেই তাদের চাকরি হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন।”
“একটি ব্যাপক প্রযুক্তি প্রয়োগের সঙ্গে অবশ্যই দক্ষতা বৃদ্ধি ও পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।”
পল রোলিং জানিয়েছেন, কাউন্সিলের উদ্দেশ্য কর্মীসংখ্যা কমানো নয়।
“আমরা এটিকে কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখি, যাতে তারা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হয়। এটি কোনো খরচ কমানোর বা চাকরি কাটা উদ্যোগ নয়।”
আবির