
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিটি শিল্পক্ষেত্রকে বদলে দিচ্ছে—গ্রাহকসেবা, চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত। তবুও অধিকাংশ স্কুলে এআই শিক্ষাজ্ঞানকে বাধ্যতামূলক হিসেবে নেয়া হয়নি, যা তরুণদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে বড় অসুবিধার কারণ হতে পারে। গণিত বা ইংরেজির মতো এআই শিক্ষাজ্ঞানকে মূল বিষয় হিসেবে শেখানো দরকার।
ম্যাককিনজির গবেষণা অনুযায়ী, জেনারেটিভ এআই বিশ্ব অর্থনীতিতে বছরে ২.৬ থেকে ৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার অবদান রাখতে পারে। এআই ব্যবহার করে কর্মক্ষমতা ৪০% পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এই প্রযুক্তি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা ছাড়াই স্নাতক লাভ করছে, যা তাদের জন্য বড় ঝুঁকি।
এআই শিক্ষাজ্ঞান শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ায়—সমস্যা সমাধান, উৎপাদনশীলতা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো সহজ হয়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এআইকে বাধ্যতামূলক পাঠ্যক্রমের অংশ করতে হবে, এবং শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।
তরুণ উদ্যোক্তারা কীভাবে এআই গ্রহণে এগিয়ে
কিশোর উদ্যোক্তারা সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড বিশ্লেষণ, কন্টেন্ট তৈরি, ব্যবসা পরিচালনা ও গ্রাহক সেবায় এআই ব্যবহার করে সফলতা পাচ্ছে। তারা দেখিয়েছে যে বয়স বড় বাধা নয়, প্রযুক্তি গ্রহণে আগ্রহই সাফল্যের চাবিকাঠি।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি
-
নিজের কাজের সঙ্গে মিল রেখে ধাপে ধাপে এআই শেখা শুরু করুন।
-
নিজ নিজ শিল্পে এআইয়ের প্রভাব বোঝার চেষ্টা করুন।
-
এআই ব্যবহারে নৈতিকতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হন।
-
বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করুন।
এআই শিক্ষাজ্ঞান এখন শুধু প্রযুক্তি বোঝার ব্যাপার নয়, বরং ভবিষ্যতের কর্মজীবনে সফলতার জন্য অপরিহার্য একটি দক্ষতা। শিক্ষাবিদ, নীতি নির্ধারক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত এআই শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম এই প্রযুক্তি দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারে।
আবির