
ছবি: প্রতীকী
সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন এবং চারজন সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি ও দেশীয় অস্ত্র।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২০ জুন রাত ৮টার দিকে কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কুলঞ্জ ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি আতিকুর রহমানের সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে।
২২ জুন রাত থেকে সেনাবাহিনীর টহল ও সাঁড়াশি অভিযানে একাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। অভিযানে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। পরে ২৩ জুন ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুনরায় অভিযানে চারজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তারা হলেন—ভাউ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, হেলাল মিয়া ও ইব্রাহিম মিয়া।
সেনাবাহিনীর তথ্যে বলা হয়, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত ব্যক্তি সন্ত্রাসী দলের সদস্য কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
অভিযানে সন্ত্রাসীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১টি একে-২২ রাইফেল, ৪টি পাইপগান, ৭টি রামদা, ৩টি ছুরি, ৬টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং ১টি ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।
২৩ জুন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টহল অব্যাহত রয়েছে।
শহীদ