যুবতী মাঠ
হাসান কল্লোল
হেমন্তের জানালায় দুহাত রেখে ঐ দূরে
কুয়াশায় ভেজা আমনের
সবুজ ধানের ছড়ায় তোমার চোখ-
ঘুরে ঘুরে ফড়িং-এর মত বসতে চায়
স্বয়ম্ভর আসনে।
আমাদের পাড়াগাঁ থেকে তরুণের স্বপ্ন
চুরি হয়েছিল কবে - তার ফানুসগুলো এক সন্ধ্যায় উড়েছিল উত্তর-হাওয়ায় ;
সেই গোপন খবর বাদামি ঝোলাব্যাগে নিয়ে, নদের পাশে
জলের শীতল-গান শোনে হলুদ বাউল!
আজো পাতার সংসারে বুনো পাখির
কোলাহলে এক বিষাদ জাগে, কাঁদে
কার্তিকের নিঃসঙ্গ নীল বিকেলের ছায়ায়।
ছাতিম গাছের ফুল আজো তবু
পাগল করা গন্ধ ছড়ায়; চিরন্তন অজানা না-পাওয়ার ক্লিষ্টতায় তবু ছেদ হয়!
জেগে ওঠা চরে বাঁজে
গম-ভুট্টা- ধানের সম্মিলিত সংগীত।
আমাদের কিষান-কিষানীর আনন্দ সংগমে আবারো সবুজ মাটি ফলবতী হয়!
হয় সব নিরাশ রাতের সমাপনী পাঠ।
ও মাঠ,অবসরে কচিঘাসের শাড়ি পরে
তুমি শুধু দিনমান যুবতী হয়ে থেকো!
** ভোরের কোকিল
শারমিন সুলতানা রীনা
মাটির জঠরে আছো নিশ্চিন্ত যাপনে
ভোরের কোকিল ডাকি বেদনা কাতর
শুনতে পাওনা কেনো অবুঝ ক্রন্দন
পুতুল খেলার মতো ভেঙেছো সংসার
বয়সী রোদের ভারে লুটায় বিকেল
রাতের শরীর পোড়ে আঁধার প্রতাপে
সাজাই জীবন ডালা নির্মম দহনে
নীরব ভাষায় সই নিভৃত যাতনা
আমাকে বরণ করো পুনরায় এসে
আঁচল ভরবো ফুলে নতুন বাসরে।