তুমি বরং মর্গেই যাও
নাসির আহমেদ দুর্জয়
কেমন প্রেমিক তুমি!
নয়ন বোঝ-নয়নের গভীরতা বোঝ না।
যে মানব তার মানবীর নয়নে নয়ন রেখেও দৃষ্টির সীমানা বোঝে না,
জল ভরা চোখে সিন্ধু দেখে না অথবা
ভেতরের গল্পটা দেখেও পড়ে না,
শুধু বাঁকা চোখের চাহনির প্রেমে পড়েই খুন হয়-
সে কামুক বৈ প্রেমিক নয়।
ভালবাসতে চাও অথচ-
যন্ত্রণাগুলোকে শিঁকেয় তুলে রাখো।
শিঁকেয় থাকা যন্ত্রণাগুলো পচে পচে গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকে-
আর একটা সময় যন্ত্রণাহীন ভালবাসা এক নগ্ন গোলাপ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।
তুমি আসলে ভালবসো না, বরং
তোমার হয়ত প্রেমহীন এক জীবন্ত কীটের মতো কিছু পাওয়ার আশায় নেশা লেগেছে,
ছায়া বোঝ না-মায়া বোঝ না-কেন যেন কোন ব্যথাও বোঝ না।
প্রেমহীন তুমি এক অনাবৃত রূপ চাও
কোন প্রেমময় নারী যা দেবে না, কখনই দেবে না-এতটুকুও দেবে না; বিশ্বাস করো।
যে দেহে মনের অস্তিত্ব নেই কিংবা অনুভূতি গ্যাসের মতো উড়ে গেছে সীমাহীন নীলিমায়
সেই দেহেই তুমি হাত বাড়াও।
মর্গে মৃত মানবীদের জায়গা হয়
একবার যেতে পারো-
ওরা তোমাকে বাধা দেবে না।
অসাড় শূন্য নিথর দেহে তুমি আঁছড়ে পড়বে
প্রেমহীন এক শূন্য মানব হয়ে প্রেমময় পথে
অনাদি-অনন্তকালে, তুমি এক জলন্ত কলঙ্ক হয়ে রবে।
** জেনেটিক
নাগর হান্নান
উদাসি দুপুরকে তুলে রাখি নিজস্ব মদের গেলাসে
গোলাটে মনে হয় প্রিয়তমার চোখ
ঐতিহাসিকভাবে কোন সিঁধেল চোর হতে পারিনি
কারণ জেনেটিকভাবে মির্জাফরের কোন আত্মীয় নই আমি।
** স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি
আমাদের পিতামহরা নিঃসন্দেহে খাস মৌলভী ছিলেন।
একেকটি সাপ বাঁচিয়ে রেখে সত্তরজন ফেরেস্তা অবসর করে দিতেন।
স্রেফ-সাদা দাড়িতে হাত বুলিয়ে ভাবতেন- এ দুনিয়া মুমিনদের জন্য দোজখ আর পাপীদের জন্য
বারামখানা।
আমরা এখন পিতামহের গোরস্তানের পাশ দিয়ে হেঁটে যায়।
আর একেকটি সাপ বাঁচিয়ে রেখে একেকটি সর্বাধুনিক মিউজিয়াম গড়ে তুলি।
শীর্ষ সংবাদ: