ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এই গ্রীষ্মে আম খাচ্ছেন তো? জেনে নিন এর স্বাস্থ্যকর দিকগুলো

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১০, ১০ জুন ২০২৫

এই গ্রীষ্মে আম খাচ্ছেন তো? জেনে নিন এর স্বাস্থ্যকর দিকগুলো

ছবিঃ সংগৃহীত

আমাদের দেশের মানুষের কাছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে প্রিয় এবং জনপ্রিয় ফলের মধ্যে অন্যতম আম। বছরের এই সময়ে বাজারে নানা রকম মৌসুমি ফল আসতে শুরু করে যেমন জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, সফেদা, আনারস, তরমুজ, বেল, নারকেল, খেজুর, করমচা ইত্যাদি। কিন্তু সব ফলের মাঝে আমের আলাদা অবস্থান। শুধু সুস্বাদু হওয়াই নয়, আমে রয়েছে বিপুল পরিমাণ পুষ্টি উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ ও সজীব রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পুষ্টিতে আমের সমৃদ্ধি

আমের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ভিটামিন এ: চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং ত্বকের জন্য উপকারী।

  • ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে স্কিনের ঝিলিক ধরে রাখে।

  • ভিটামিন ই: একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি কমায় এবং বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।

  • পটাশিয়াম: হার্ট ও পেশীর সঠিক কাজের জন্য অত্যাবশ্যক, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: দেহের শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে এবং নার্ভ সিস্টেমের জন্য উপকারী।

  • কপার ও ফলেট: লোহিত রক্ত কণিকা গঠনে ভূমিকা রাখে।

  • ফাইবার: পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে।

  • প্রোটিন: শরীরের গঠন ও মেরামতে সহায়ক।

ক্যালরি ও স্বাস্থ্য

আম সাধারণত কম ক্যালরি সম্পন্ন ফলের মধ্যে অন্যতম। তাই আম খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই মন ও পেট ভরাতে পারেন, অথচ অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের চিন্তা করতে হয় না। একটি মাঝারি মাপে আম প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ক্যালরি প্রদান করে, যা ডায়েটিং বা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য উপযুক্ত।

অন্যান্য উপকারিতা

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি: আমে উপস্থিত ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদান হজম প্রক্রিয়াকে সহজতর করে।

  • ত্বক ও চুলের যত্ন: ভিটামিন এ ও ই-র কারণে আম ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

  • রক্ত সঞ্চালন ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য: পটাশিয়াম ও কপার রক্ত সঞ্চালন এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত করে।

  • দৈনিক শক্তি: সহজে হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে আম দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।

খাবারের সময় ও পরিমাণ

অতিরিক্ত না খেলে আম স্বাস্থ্যকর হলেও, কারো যদি ডায়াবেটিস বা অতিরিক্ত মিষ্টি গ্রহণে সমস্যা থাকে, তাদের পরিমিতভাবে আম খাওয়া উচিত। এছাড়া তাজা, সঠিকভাবে ধুয়ে খাওয়া ও সময়মতো খাওয়া উচিত।

 

আম শুধু মিষ্টি ও রসালো নয়, এটি একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু ফল যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। তাই এ মৌসুমে আম খাওয়া শুরু করে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান থাকার আনন্দ উপভোগ করা যেতে পারে।

পৃথী

×