ছবি সংগৃহীত
করসল, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ফল। যা দেশের বিভিন্ন জায়গায় টক আতা, লক্ষ্মণ ফল, সায়ারসপ বা গ্রাভিওলা নামেও পরিচিত। যদিও করসলের ক্যানসার নিরাময়ে কার্যকারিতা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি। তবে অনেকেই এর ফল ও পাতা ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী বলে দাবি করছেন।
এই গাছটির সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো গাজী আলী আশরাফ বলেন, করসলের পাতার রস তাঁর ক্যানসারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি জানান, ২০২০ সালে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে এবং চিকিৎসকরা তাঁর বয়স বিবেচনায় কেমোথেরাপি দিতে চাননি। ক্যানসারের চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন এবং তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন কেমোথেরাপি বন্ধ করে করসল পাতার রস খাওয়ার শুরু করেন।
গাজী আলী আশরাফ বলেন, “প্রতিদিন তিন বেলা করসল পাতা পানি দিয়ে জ্বালিয়ে চায়ের মতো খেতাম। পরে পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠি।” তিনি আরও বলেন, “এখনও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি এবং মাঝে মধ্যে করসল পাতার রস খাই। আমার কাছ থেকে সাতজন ক্যানসার রোগী এই পাতা নিয়ে গেছে এবং তারা উপকার পাচ্ছে।”
গাজী আলী আশরাফের দাবি, করসলের ফল ও পাতা ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর, তবে তা অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, "নিজের কিডনিতে টিউমার ছিল, যা পরে ক্যানসারে রূপ নিয়েছিল। কেমোর পরিবর্তে আমি করসল পাতার রস খাওয়া শুরু করি এবং এখন সুস্থ আছি।”
তবে, করসল সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য কিছুটা ভিন্ন। উইকিপিডিয়া জানিয়েছে, করসলের বীজ ও পাতা নিউরোটক্সিন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যানসার সেন্টার ক্যানসার চিকিৎসায় লক্ষ্মণ ফলের কিছু ভূমিকা স্বীকার করলেও, ক্যানসার নিরাময়ে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আশিকুর রহমান
