ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনা থেকে কিছুই সরানো হয়নি। তিনি দাবি করেন, যেসব গাড়ি ও ছোট ট্রাক সেখানে দেখা গেছে, সেগুলো মূলত কংক্রিট শ্রমিকদের ব্যবহৃত—তারা নাকি ওই স্থাপনার শ্যাফট বা গর্তের মুখ ঢাকতে কাজ করছিলেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, “সাইট থেকে কিছুই সরানো হয়নি। কিছু সরাতে হলে অনেক সময় লাগত, এটি বিপজ্জনক, আর সরানোও কঠিন ও ভারী।” তবে এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করেননি।
এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প তাঁর প্রতিরক্ষা সচিবের আগের বক্তব্যের সঙ্গেই সুর মিলিয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় “কোনো গোপন উপাদান অপসারণের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি”।
তবে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) বা ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই ধরনের মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে অতীতে বহুবার চাপ ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে—যার ফলে এই ধরনের তথ্য বা দাবি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বিশ্ব পরমাণু নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো এই বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার পর থেকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। নতুন করে উত্তেজনা বা সামরিক পদক্ষেপ এড়াতে দ্বিপক্ষীয় সংলাপের বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে বিভিন্ন পক্ষ।
ফারুক
