ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

তেহরানে বিজয়ের জোয়ার: যুদ্ধবিরোতির পর স্লোগানে মুখর রাজপথ

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৫ জুন ২০২৫

তেহরানে বিজয়ের জোয়ার: যুদ্ধবিরোতির পর স্লোগানে মুখর রাজপথ

ইরান-ইসরাইলের ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার। যুদ্ধবিরোতির ঘোষণার পরপরই রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরে শুরু হয় বিজয় উৎসব। রাস্তায় রাস্তায় জড়ো হন হাজারো মানুষ। তাঁরা ‘আমেরিকা নিপাত যাক, ইসরাইল ধ্বংস হোক’—এমন বিপ্লবী স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন রাজপথ। আলোর মিছিল, ধর্মীয় সংগীত আর পতাকা ওড়ানোর মাধ্যমে উদযাপন চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরোতির ঘোষণা দেওয়ার পরেই ইরানের শীর্ষ নেতারা এটিকে “ঐতিহাসিক বিজয়” হিসেবে আখ্যা দেন। তাঁরা বলেন, এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে—তেহরান শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক শক্তিতেও এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

যুদ্ধ চলাকালে ইরান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যস্থ ঘাঁটিতে একযোগে মিসাইল হামলা চালানো হয়। এই আঘাতকে অনেকেই বলছেন “আসল প্রতিশোধ”। হামলার পরই পশ্চিমা বিশ্ব নড়েচড়ে বসে। বিশেষ করে ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্রের উপর।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে দেশজুড়ে বিজয় র‍্যালি ও কণ্ঠে কণ্ঠে যুদ্ধজয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইরানের সংসদ স্পিকার মাহদী মোহাম্মদী এটিকে "যুগান্তকারী বিজয়" বলে অভিহিত করেন। পারমাণবিক শক্তি বিভাগের মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেন, কেউ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামাতে পারবে না।

ইরানের অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যতক্ষণ না জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে—আল্লাহর ইচ্ছায়।” বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরোতি কৌশলগতভাবে ইরানের বড় এক সাফল্য, যা ভবিষ্যতের কূটনৈতিক আলোচনায় তেহরানকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে।

রাজু

×