
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি মনে করেন পুরো ইউক্রেনই তাদের এবং সীমান্ত বরাবর একটি বাফার জোন গঠনের লক্ষ্যে রুশ সেনারা চাইলে উত্তর ইউক্রেনের সুমি শহরও দখল করতে পারে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত রাশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তৃতার সময় পুতিন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়রা এক জাতি। এই অর্থে গোটা ইউক্রেন আমাদের।”
পুতিন দাবি করেন, তিনি ইউক্রেনের স্বাধীনতা বা ইউক্রেনীয়দের সার্বভৌমত্বের আকাঙ্ক্ষা অস্বীকার করছেন না। তবে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে যখন ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল, তখন তারা নিরপেক্ষতা ঘোষণাও করেছিল। এখন মস্কো চায়, ইউক্রেন যেন মাটির বাস্তবতা মেনে নেয় — যেখানে রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে — তাহলেই শান্তির কোনো সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
ইউক্রেন বলেছে, পুতিনের মন্তব্য শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি ‘অবমাননার’ বহিঃপ্রকাশ। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বলেন, “পুতিনের নির্লজ্জ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বিশ্ব যখন হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে, তখন রাশিয়ার শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আরও ভূখণ্ড দখল ও ইউক্রেনীয়দের হত্যার পরিকল্পনা করছে।”
এদিন রাশিয়া ও ইউক্রেন আবারও বন্দি সেনাদের অদলবদল করেছে— যা চলতি মাসের শুরুতে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার ফল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, “কিয়েভ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে একদল রুশ সেনাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর বিনিময়ে কিছু ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এএফপির একজন সাংবাদিক জানান, মুক্তিপ্রাপ্ত ইউক্রেনীয় বন্দিরা বাস থেকে নামার পর কাঁদতে কাঁদতে আত্মীয়দের জড়িয়ে ধরেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, “এই বন্দিদের অনেকেই দুই বছরেরও বেশি সময় রাশিয়ার বন্দিত্বে ছিলেন।”
সানজানা