ছবিঃ সংগৃহীত
টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনাকে "চরম সংকটময় পরিস্থিতি" বলে আখ্যায়িত করেছেন। ১২ জুনের ওই দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের প্রাণহানি ঘটে। তবে চন্দ্রশেখরন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া বিমানের কোনো পূর্ব রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যা বা ‘রেড ফ্ল্যাগ’ ছিল না।
টাইমস নাউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “অনেক জল্পনা ও নানা তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যতদূর আমি জানি, AI-171 ফ্লাইটে ব্যবহৃত ওই নির্দিষ্ট বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের অতীতে কোনো অপ্রীতিকর রেকর্ড ছিল না। উভয় ইঞ্জিনই যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যেই ছিল।”
চন্দ্রশেখরন বলেন, বিমানের ডান পাশের ইঞ্জিনটি ২০২৫ সালের মার্চে নতুন করে সংযোজন করা হয়েছিল এবং বাম পাশের ইঞ্জিনটির শেষ সার্ভিসিং হয়েছিল ২০২৩ সালে। এটি পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্ধারিত ছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে।
উল্লেখ্য, AI-171 ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়ে টেকঅফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি মেডিকেল কলেজ কমপ্লেক্সে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের সব যাত্রী ও ক্রু সদস্যসহ মাটিতে থাকা কয়েকজনেরও মৃত্যু হয়।
চন্দ্রশেখরন আরও বলেন, “আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি না। ব্ল্যাক বক্সের তথ্যই প্রকৃত কারণ জানাবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।”
তিনি জানান, পাইলটদের অভিজ্ঞতা নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। ক্যাপ্টেন সাবরওয়াল ১১,৫০০ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইট অভিজ্ঞতা এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার ৩,৪০০ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইং আওয়ারস সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি তারা দু’জনই খুব দক্ষ ও পেশাদার পাইলট ছিলেন।”
সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটির সহযোগিতায় Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB) বর্তমানে তদন্ত পরিচালনা করছে। চন্দ্রশেখরনের মতে, প্রাথমিক রিপোর্ট পেতে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তিনি জনসাধারণ ও স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশে বলেন, “এয়ার ইন্ডিয়ার সুরক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে তদন্তে সহায়তা করছি। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
নোভা
