ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান হাসপাতাল সোরোকা–তে বৃহস্পতিবার সরাসরি আঘাত লাগে, যা ব্যাপক ধ্বংসের সৃষ্টি করেছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
একই সময় ইরান আরও একটি পৃথক হামলায় তেল আবিবে একটি উচ্চ-উচ্চ ভবন লক্ষ্য করে এবং মধ্য ইসরায়েলের অন্যান্য স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তেল আবিবের এক হাসপাতাল সংবাদ দিয়েছে, সেখানে ১৬ জন আহতসহ তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় ইভাল হয়েছে।
সোরোকা মেডিকেল সেন্টার (বীরশেবা)–এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাসপাতালে "বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি" হয়েছে এবং কেউ কেউ আহত হয়েছেন। তাঁরা সাধারণ মানুষের আশেপাশে পৌঁছাবেন না এমন অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওই হাসপাতালের যে অংশে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে সেটি হামলার আগে খালি করে নেওয়া হয়েছিল।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা “মাগেন ডেভিড আডম”–এর পরিচালক জানান, “গত রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোরোকার ক্ষতিগ্রস্ত তলাটি অবশ্যই খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। এভাবে অনেক জীবন রক্ষা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রী উরিয়েল বসো বলেছেন, “এই হামলা একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং এক ‘রেড লাইন’ উলঙ্ঘন। এটি নিষ্পাপ বেসামরিক মানুষ এবং জীবন রক্ষাকারী মেডিক্যাল টিমকে উদ্দেশ্য করে ইরানি শাসনের চালানো এক যুদ্ধাপরাধ।”
তাঁর মতে, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিল, এবং দ্রুত পদক্ষেপে বড় ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা গেছে।”
প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে সেবা দেয়া ১,০০০–এরও বেশি বেডের এই হাসপাতাল।
এই হামলার ঠিকই সময়ে, ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে ইরানের এরাক হেভি ওয়াটার পারমাণবিক চুল্লিতে; ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চুল্লিতে “বিনা–রেডিয়েশনের কোনো ঝুঁকি নেই।”
স্থানীয় প্রতিবেদক জানায়, প্রতিষ্ঠানটি খালি করে নেয়া হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় কোনো ক্ষতি হয়নি।
সূত্র - https://www.dw.com/en/iranian-missile-strikes-hit-israeli-hospital/live-72967009
সানজানা
