
ছবি:সংগৃহীত
মাদারীপুরের কালকিনিতে এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুইজন শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর কাউকেই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, বারবার শিশু নিখোঁজের ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অপরদিকে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় সচেতন মহল।
নিখোঁজ শিশুরা হলো—কালকিনি পৌরসভার কাশিমপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাসির মৃধার মেয়ে নাছিমা আক্তার (৮) এবং কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর জায়গির গ্রামের দুবাই প্রবাসী রেজাউল করিম বাবুর মেয়ে ইসরাত (৮)। তারা দুজনেই স্থানীয় মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ, স্থানীয় এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ জুন) রাতে কাশিমপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী নাসির মৃধার মেয়ে নাছিমা আক্তার তার মা ময়না বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী শিপন বেপারীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে যায়। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ঘটনার ছয় দিন পার হলেও এখনো শিশুটির কোনো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।
নাছিমার খালা সাবিনা বেগম বলেন, “গায়েহলুদের অনুষ্ঠান থেকে আমার ভাগিনিকে কে বা কারা নিয়ে গেছে, না কি কেউ ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলেছে—আমরা কিছুই বলতে পারছি না। আমরা এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে, গত বুধবার (১৮ জুন) সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে চর জায়গির গ্রামের দুবাই প্রবাসী রেজাউল করিম বাবুর মেয়ে ইসরাত নিখোঁজ হয়। এখন পর্যন্ত তাকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ ইসরাতের বাবা রেজাউল করিম বাবু মোবাইল ফোনে বলেন, “আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছে। আমি বিদেশ থেকে দ্রুত দেশে ফিরে আসছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে দুই শিশু নিখোঁজ হলেও পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। তারা চাইলে ওই শিশুদের উদ্ধার করা সম্ভব হতো।”
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম সোহেল রানা বলেন, “নাছিমার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, “লক্ষ্মীপুরের মাদ্রাসাছাত্রী ইসরাত নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
মারিয়া