ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

হরমুজ প্রণালি বন্ধের ঘোষণা ইরানের: যুদ্ধ এবার তেলের বাজারে

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১৬ জুন ২০২৫

হরমুজ প্রণালি বন্ধের ঘোষণা ইরানের: যুদ্ধ এবার তেলের বাজারে

ছবিঃ সংগৃহীত

তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে হরমুজ প্রণালির অস্থায়ী বন্ধ ঘোষণা। ইরানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হরমুজ প্রণালি দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারবে না।

এই ঘোষণার পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান কৌশলগতভাবে হরমুজ প্রণালিকে ব্যবহার করে এখন আরও জোরালোভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায়।

বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এই জলপথটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত এই প্রণালির সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশ মাত্র ৩৯ কিলোমিটার প্রস্থের, যার মধ্যে দুটি নির্ধারিত চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করে।

বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশই এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়, যা একে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। ফলে এর অচলাবস্থা পুরো আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে ইরান এই প্রণালিকে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলায় এক কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এর আগেও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হুমকির মুখে তারা একাধিকবার হুমকি দিয়েছে এই প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার। এবার তারা সেই হুমকি বাস্তবে রূপ দিল।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো বহুদিন ধরেই এই সমুদ্রপথে নৌবাহিনী মোতায়েন করে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে হরমুজ প্রণালি নিয়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্বে জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা এখন বিশ্ববাসীর নজরে।

সূত্রঃ আলজাজিরা

নোভা

×