ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলের সঙ্গে চতুর্থ দিনে গড়ালো যুদ্ধ: সোমবার ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩৬, ১৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে চতুর্থ দিনে গড়ালো যুদ্ধ: সোমবার ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান

ছবি: সংগৃহীত।

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চতুর্থ দিনে পা রাখতেই ফের এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সোমবার ভোরে ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় তেহরান। এটি গত চার দিনে ইরানের ১০ম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলে জানানো হয়েছে।

রাতভর আতঙ্কে ইসরায়েলিরা বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। মধ্যরাতে চালানো প্রথম হামলার পর একাধিক ভুয়া সতর্ক বার্তা পরিস্থিতিকে আরও আতঙ্কিত করে তোলে।

ইসরায়েলি সেন্সরশিপের কড়াকড়ির মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাইফার একটি বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। পরে অধিকৃত ভূখণ্ডের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর আসে। তেল আবিবেও একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স লাশ সংগ্রহ করতে দেখা যায়।

এর আগে মধ্যরাতে ইরান কিরিয়াত গাত, হাইফা ও নেগেভ মরুভূমির কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। এতে দেশটির সামরিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর বড় ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, নেগেভ মরুভূমিতেই অবস্থিত দিমোনা পারমাণবিক স্থাপনা এবং একাধিক গোপন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি। কিরিয়াত গাতে রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক প্রযুক্তি শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেমিকন্ডাক্টর কারখানা।

গত কয়েক দিনে ইরান ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল পরিশোধন কেন্দ্র ও দেড় শতাধিক সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

এই যুদ্ধের সূচনা ঘটে শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলি বাহিনীর তেহরানের আবাসিক ভবন ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক বোমা হামলার মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে ইসরায়েল মূলত বেসামরিক অবকাঠামোকেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। হামলায় ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা, নয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং ২২০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ না করা পর্যন্ত এই পাল্টা হামলা অব্যাহত থাকবে।

বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করছেন, ইসরায়েল সরকার এই হামলা চালিয়ে ইরানের অভ্যন্তরে জনরোষ উসকে দিতে চেয়েছিল। আবার অনেকের ধারণা, ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে দেশটির পাল্টা জবাবের সক্ষমতা ভেঙে ফেলার আশা করেছিল তেল আবিব, কিন্তু সেটি বাস্তব হয়নি।

সূত্র: https://short-link.me/14FPd

মিরাজ খান

×