
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সাম্প্রতিক হামলার পর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আঘাতের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে ইসরাইল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখে দেশজুড়ে হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে তেল আবিব ও হাইফার বড় বড় হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ ওয়ার্ডগুলোকে জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থার এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, পাল্টা হামলার জেরে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে, তাই এই প্রস্তুতি।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরাইল ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালায়। এর পরপরই নিজেদের ভূখণ্ডে সম্ভাব্য পাল্টা আঘাত সামাল দিতে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দেশটি।
ইতোমধ্যে বেনগুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সারাদেশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা থেকে নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাবেশ ও কর্মস্থলের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইসরাইল সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিরক্ষা নীতিতে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন এনে পূর্ণ কার্যক্রম স্তর থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্তরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইসরাইলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের হামলা হতে পারে ভয়াবহ। তিনি বলেন, “আমাদের সামরিক আক্রমণ শতভাগ সফল না-ও হতে পারে। ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেবে এবং পরিস্থিতি আমাদের কল্পনার বাইরে হতে পারে।”
এদিকে হামলার জেরে ইসরাইলে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে না বেরোনোর নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছেন, ইসরাইলের জন্য অপেক্ষা করছে “করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি”।
আসিফ