ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

যুদ্ধ নয়, অস্ত্র নয়, এক নারীর নামেই কাঁপে পুতিনের ক্রেমলিন!

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১১ জুন ২০২৫

যুদ্ধ নয়, অস্ত্র নয়, এক নারীর নামেই কাঁপে পুতিনের ক্রেমলিন!

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম ক্ষমতাধর নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। কেজিবি গোয়েন্দা থেকে উঠে এসে আজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তিনি। একদিকে কঠোর শাসন, অন্যদিকে কূটনৈতিক চাতুর্য—সব মিলিয়ে বহু রাষ্ট্রপ্রধান যেখানে তার সামনে নতজানু, সেখানে পুতিন নিজেই একজন নারীর ভয়ে শঙ্কিত! অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্য। সেই নারী হলেন—দারিয়া আন্দ্রেয়েভনা সেরেঙ্কো।

অস্ত্র নয়, প্রতিবাদের কণ্ঠেই কাঁপে ক্ষমতার প্রাসাদ

দারিয়া সেরেনকো কোনো সেনাবাহিনীর নেত্রী নন, নন কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা গুপ্তচর। তিনি একজন নারীবাদী মানবাধিকারকর্মী। যুদ্ধ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যিনি সোচ্চার কণ্ঠস্বর। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরের দিনই তিনি গঠন করেন ফেমিনিস্ট অ্যান্টি-ওয়ার রেজিস্টেন্স। দ্রুত এই সংগঠন ছড়িয়ে পড়ে রাশিয়ার ৮০টিরও বেশি শহরে।

নারীদের জাগরণে ভয় পায় শাসক

হাজারো নারী যুক্ত হন এই সংগঠনে, যারা যুদ্ধবিরোধী পোস্টকার্ড, চিঠি এবং প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে পুতিনের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। ইউক্রেনের নারীদের দুঃখ-দুর্দশার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন রুশ নাগরিকদের কাছে। দারিয়া যেন হয়ে উঠেছেন পুরুষতান্ত্রিক ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জীবন্ত এক প্রতীক

চ্যালেঞ্জ শুধুই পুতিনকে নয়, পুরো ব্যবস্থাকে

পুতিন সরকার তাকে ভয় পায়, এমনকি ইয়াহু নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়—পুতিন এখন দারিয়াকে নিজের সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করেন। তার ওপর নজরদারি, গ্রেফতারের হুমকি, এমনকি জেলেও পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, ইনস্টাগ্রামে একটি লাল প্রতীক পোস্ট করায় তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় মস্কোর একটি আদালত।

এক নারীর কণ্ঠ আজ লাখো নারীর প্রতিবাদ

দারিয়া সেরেনকো আজ শুধু একজন ব্যক্তি নন, প্রতিরোধের প্রতীক। তার কণ্ঠস্বর কেবল রাশিয়া নয়, ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। তিনি প্রমাণ করেছেন—যুদ্ধ, অস্ত্র বা ক্ষমতা নয়, পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সাহস এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো।

সূত্রঃ https://youtu.be/9uop-S0CgPg?si=T7B2NRVWWSWcQNTN

ইমরান

×