সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং শুরু, ছাত্রভিসার নতুন শর্তে বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে ছাত্রভিসা আবেদন প্রক্রিয়া। তবে এবার আবেদনকারীদের জন্য নতুন শর্ত যোগ করা হয়েছে—নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (সোশ্যাল মিডিয়া) অ্যাকাউন্টগুলো প্রকাশ্যে (Public) রাখতে হবে।

এই নতুন ভিসা নীতির লক্ষ্য—“যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান ও সংবিধানবিরোধী মনোভাব রয়েছে কি না”—তা যাচাই করা। খবর বিবিসির।

🔍 'Enhanced Screening' চালু, গোপন অ্যাকাউন্ট মানেই সন্দেহ!

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যেসব আবেদনকারী তাদের ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করে রেখেছেন, তাদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। কারণ, এক্ষেত্রে ধরা হবে যে তারা কিছু লুকাতে চাইছে।

একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,

"আমেরিকার নাগরিকদের প্রত্যাশা তাদের সরকার দেশকে নিরাপদ রাখতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে—আর সেটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন।"

🎓 কারা পড়বে এই নিয়মের আওতায়?

এই নতুন নির্দেশনার আওতায় পড়বেন—

F ভিসা আবেদনকারীরা (বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য)

M ভিসা (কারিগরি বা ভোকেশনাল শিক্ষা)

J ভিসা (এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য)

⚠️ ভিসা বন্ধ, অনুদান ফ্রিজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ক্র্যাকডাউন’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কেন্দ্র করে চলমান সমালোচনার অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই 'ক্র্যাকডাউন' শুরু করে। তিনি অভিযোগ করেছেন,

যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বামপন্থী চিন্তাধারায় পরিচালিত

তারা ইহুদি-বিরোধী আন্দোলন (Antisemitism) ঠেকাতে ব্যর্থ

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের:

• কয়েকশো মিলিয়ন ডলার অনুদান ফ্রিজ করা হয়েছে
• ভিসা বাতিল ও শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়
• হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের $2.65 বিলিয়ন অনুদান ফ্রিজ করা হয়

হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি ক্ষমতা বাতিলের চেষ্টা করলেও, সেটি এখনো আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আটকে আছে।

🌎 আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কত?

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২১০টি দেশের ১১ লাখের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছেন।
তথ্যসূত্র: Open Doors

এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বিশেষ করে, যাদের ব্যক্তিগত মতামত, রাজনৈতিক অবস্থান কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে সংবেদনশীলতা রয়েছে।