
গাজায় ঈদুল আজহার প্রথম দিনেই ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন । শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই হামলাগুলো গাজা সিটির খান ইউনুস, জাবালিয়া ও রাফাহসহ বিভিন্ন এলাকায় চালানো হয়।
স্থানীয় চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, খান ইউনুসের আল-সারায়া আটক কেন্দ্রের কাছে এক শিশু নিহত হয়েছে। আরেকটি হামলায় পূর্ব খান ইউনুসের আবাসান আল-কাবিরায় এক ব্যক্তির মরদেহ ধ্বংসাবশেষের নিচে পাওয়া গেছে। জাবালিয়ায় একটি আবাসিক বাড়িতে হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন। গাজা সিটির আল-তুফাহ এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় একাধিক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
এটি গাজায় যুদ্ধের চতুর্থ ঈদ, যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলা পরবর্তী ইসরায়েলি অভিযানের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রায় ৫৪,৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে, গাজায় খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজার ১০০% জনগণ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন, যার মধ্যে ৪৭০,০০০ জন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে এবং ৭০,০০০ শিশু জরুরি পুষ্টি সহায়তা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে, ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এবং তাদের প্রিয়জনদের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে, ঈদের আনন্দের পরিবর্তে তাদের মুখে ছিল দুঃখ ও শোকের ছাপ।
সানজানা