ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের এক চুল দূরে! যেভাবে রক্ষা করল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২২, ৩০ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের এক চুল দূরে! যেভাবে রক্ষা করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও, এবার শুরু হয়েছে কূটনৈতিক সংঘাত। চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বর্তমানে একটি চার-দেশীয় কূটনৈতিক সফরে রয়েছেন, যার আওতায় তিনি আজারবাইজান, তুরস্ক, ইরান ও তাজিকিস্তান সফর করছেন। এর আগে তিনি ফেব্রুয়ারিতে আজারবাইজান এবং এপ্রিল মাসে তুরস্ক সফর করেন।

এবারের সফরের বিশেষত্ব হলো—তার সঙ্গে রয়েছেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনির, যিনি সম্প্রতি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন, এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার।

শেহবাজ শরিফের গন্তব্য দেশগুলো পরিচিত হলেও, এবারের সফরের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ, দুই সপ্তাহ আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক উত্তেজনা চলে, যার মধ্যে মিসাইল ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুই দেশই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের অবস্থান জোরদারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ভারত ইতোমধ্যে ৩০টিরও বেশি দেশে কূটনৈতিক মিশন পাঠিয়েছে, যেখানে তারা পাকিস্তানকে "সন্ত্রাসবাদে সমর্থনদাতা" হিসেবে চিত্রিত করছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা ৪০ বছর ধরে ভারতবিরোধী সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদের জন্য যারা দায়ী, সেই পাকিস্তানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনে।”

গত ২২ এপ্রিল, ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পর্যটক। ভারত এই ঘটনার জন্য দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে দায়ী করে, যাদের লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT)-র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলেও অভিযোগ করা হয়। এই সংগঠনটি জাতিসংঘ কর্তৃক "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী" হিসেবে তালিকাভুক্ত।

পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে "স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ" তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

এরপর ৭ মে, ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের একাধিক স্থানে "সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো" লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালায়। পাকিস্তান দাবি করে, এসব হামলায় সাধারণ মানুষ, মসজিদ ও স্কুল লক্ষ্যবস্তু হয় এবং ৫০ জনের বেশি নিহত হন, যাদের মধ্যে ১১ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

পরবর্তীতে ড্রোন হানা ও ১০ মে উভয় দেশের সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টাপাল্টি মিসাইল হামলার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় দেশ।

শহীদ

×