ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চীনা যুদ্ধবিমানে কুপোকাত ভারতের রাফায়েল, কী এর গোপন রহস্য?

প্রকাশিত: ২২:২১, ৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ২২:২২, ৪ জুন ২০২৫

চীনা যুদ্ধবিমানে কুপোকাত ভারতের রাফায়েল, কী এর গোপন রহস্য?

ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের পর বিশ্বব্যাপী জে-টেন যুদ্ধবিমান নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। দাবি ওঠে- তৃতীয় প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেই পাকিস্তান ধ্বংস করেছে ফরাসি ফাইটার জেট- রাফাল। ফলে প্রশ্ন ওঠে ঠিক কী কারণে এতটা কার্যকর এই যুদ্ধবিমান। সম্প্রতি, বিশেষত্ব আর সক্ষমতার বেশকিছু গোপন তথ্য জানিয়েছেন বিমানটির এক ডিজাইনার। 

জে-টেন যা ভিগোরাস ড্রাগন নামেও পরিচিত। সম্প্রতি চীনের তৈরি এই যুদ্ধ বিমানের সাহায্যেই পাকিস্তান ভারতের রাফায়েল ফাইটারদের ধ্বংস করেছে বলে দাবি উঠে। এরপরই নতুন করে আলোচনা শুরু হয় এই যুদ্ধবিমান নিয়ে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে জে টেন সিরিজের যুদ্ধবিমান নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় চীনের চেংডু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি। সিঙ্গেল ইঞ্জিন সিঙ্গেল সিট ও মাল্টিরোল ফাইটার জে-টেন প্রথম আকাশে ওড়ে ১৯৮৮ সালে যার কৌতিনাতি বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন বিমানটির অন্যতম প্রধান ডিজাইনার জি পিন। ৪০ বছর পরেও এটিকে দারুণ সুন্দর আর আধুনিক দেখায়।

এই যুদ্ধবিমানটির রয়েছে ক্যানার্ড কনফিগারেশন। এই ক্যানার্ড উইং মূল দুই ডানার সামনের প্রান্তের সাথে সংযুক্ত। এটি ভার্টেক্স বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করে। ক্যানার্ড উইং ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করায় বিমান সহজেই উপরের দিকে বাঁক নিতে পারে। ফলে পাইলট কম সময়ে দিক পরিবর্তন করে শত্রুর হামলা থেকে রক্ষা পায়। একই সাথে বিশেষ এই ডানা যুদ্ধবিমানকে আরও বেশি দ্রুতগামী আর তীব্র বাতাসের চাপ সচ্ছ করে স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করে। স্টেল্থ সক্ষমতা বা শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিতেও পারদর্শী জে-টেন।

এই বিমানের ককপিট এক ধরনের পাতলা আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে। এই আবরণের ফলে শত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়ে না বিমানের প্রতিচ্ছবি। ফলে বিমান শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। পুরোনো হলেও বিভিন্ন সময়ে বিমানটিতে উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও ওয়েপন সিস্টেম সংযুক্ত করেছে নির্মাতারা। ফলে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রেও এর সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ। আগে আমরা জে-৭ ও জে-৮ ফাইটার তৈরি করতাম।

সেগুলো দূরের টার্গেট শনাক্ত করতে পারত না। তবে উন্নত রাডার প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক জে টেন প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটকেও হামলা চালাতে সক্ষম। এছাড়াও এই বিমানে ১১ টি এক্সটারনাল হার্ড পয়েন্ট রয়েছে। ফলে আরও বেশি দূরপাল্লার মিসাইল বহন করা যায়। জে-টেন যুদ্ধবিমানের বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করেছে চীন। ২০২২ সালে সর্বপ্রথম পাকিস্তান এটির জে টেন সিই ভার্সনটি নিজেদের বিমানবাহিনীর জন্য কিনে নেয়। 

রিফাত

×