ছবি: সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন ইসরায়েলের ১,২০০-এর বেশি শিক্ষাবিদ। তারা মঙ্গলবার (২৮ মে) এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েলি একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশে যুদ্ধ বন্ধের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শিক্ষাবিদদের এই দলটি নিজেদের পরিচয় দিয়েছে ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ অ্যাকশন গ্রুপ’ হিসেবে। চিঠিতে তারা লিখেছেন, মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। একইসঙ্গে তারা সতর্ক করেছেন, এই গণহত্যার পাশাপাশি গাজাবাসীর ওপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে—যা একটি ঘোষণা করা সরকারি নীতির পরিণতি।
শিক্ষাবিদরা চিঠিতে লিখেছেন, সরকার নয়, সমাজই মানবতাবিরোধী অপরাধ করে। কেউ তা করে সরাসরি সহিংসতার মাধ্যমে, কেউ আবার তা সমর্থন করে নীরব থেকে, কিংবা অজুহাত দিয়ে। এই নীরবতা ও আত্মপ্রবঞ্চনার বন্ধনই অপরাধের ধারাবাহিকতাকে সম্ভব করে তোলে।
তারা আরও বলেন, আমরা জানতাম না—এই দাবি আমরা আর করতে পারব না। আমরা খুব বেশি দিন নীরব থেকেছি। এখনই যুদ্ধ থামাতে না পারলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
চিঠিতে আহ্বান জানানো হয়েছে ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংগঠন Association of University Heads, Board of Academic Public Colleges, এবং Academics for Israeli Democracy-কে যেন তারা একাডেমিক সমাজকে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে। প্রয়োজনে ধর্মঘটেও যেতে বলা হয়েছে।
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফায়েল গ্রিনবার্গ, যিনি ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন, আল জাজিরাকে বলেন: আমরা বলতে চাইছি—এই যুদ্ধ কি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ?”
“শিক্ষাবিদদের এখন তাদের কণ্ঠ তুলতে হবে।
এসএফ
