ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হামাস নেতাকে হত্যা; নেতানিয়াহু’র পৈশাচিক উল্লাস

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২৯ মে ২০২৫

হামাস নেতাকে হত্যা; নেতানিয়াহু’র পৈশাচিক উল্লাস

ছবি: সংগৃহীত

হামলা আর দুর্ভিক্ষের নির্মম ভার কাঁধে নিয়ে এখনও বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন গাজাবাসী। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত ইউরোপিয়ান হাসপাতাল ছিল আহতদের চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়। কিন্তু চলতি মাসের ১৩ তারিখ দখলদার ইসরাইলের বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় হাসপাতালটি। সেই হামলায় বেসামরিকদের সঙ্গে প্রাণ হারান হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনোয়ার—যিনি হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনোয়ারের ছোট ভাই।

সেদিন থেকেই তার মৃত্যুর খবর ঘুরছিল নানা গুঞ্জনে। অবশেষে বুধবার ইসরাইলি সংসদে দাঁড়িয়ে বিষয়টি স্বীকার করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গাজায় চলমান তথাকথিত "পূর্ণজাগরণ যুদ্ধ" এর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের শত্রুরা একে একে ধ্বংস হচ্ছে। দেফ, হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনোয়ার এবং মোহাম্মদ সিনোয়ার—তারা সবাই পতিত। আমরা গাজা থেকে তাদের নির্মূল করতে পেরেছি এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানও দখলে নিয়েছি।"

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে, গাজায় হামাস নেতৃত্বকে টার্গেট করেই ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইউরোপিয়ান হাসপাতালের ধ্বংস এবং মোহাম্মদ সিনোয়ারের মৃত্যু সেই অভিযানেরই অংশ।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, “গাজায় আর কোনোদিন জ্বালানি, অর্থ বা অস্ত্র সরবরাহ করা হবে না। ত্রাণ সরবরাহের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আমাদের যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ।” এছাড়া তিনি ঘোষণা দেন, “২০ জন জীবিত এবং ৩০ জন মৃত ইসরাইলিকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।”

তবে তার এই বক্তব্যের মধ্যেই গাজাবাসীর দুর্ভোগ আর বেসামরিক প্রাণহানির প্রসঙ্গ ছিল একেবারেই উপেক্ষিত। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডের সাধারণ মানুষ এখনো নিরাপদ আশ্রয় ও চিকিৎসার জন্য হাহাকার করছে। আর গাজার ধ্বংসস্তূপে যেন প্রতিদিনই জন্ম নিচ্ছে আরও একটি প্রশ্ন—কোথায় থামবে এই মৃত্যু, এই যুদ্ধ?

এসএফ 

×