তিমি বেলুগা
সুইডেনের উপকূলে দেখা মিলেছে ‘রাশিয়ার গুপ্তচর’ বেলুগা তিমি হাবালদিমিরের। রবিবার (২৮ মে) তিমিটিকে সুইডেনের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের হুনেবোস্ট্র্যান্ডে দেখা গিয়েছিল।
২০১৯ সালে নরওয়েতে গলায় মানুষের তৈরি বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরা লাগানো এ তিমিটিকে প্রথম পাওয়া যায়। তখন দেশটির মৎস বিভাগ এটিকে ধরে ফেলে। ওই সময় তিমিটির গায়ে লাগানো বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরাটি খুলে ফেলা হয়। তিমিটির গায়ে মোড়ানো একটি প্লাস্টিকে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ।ওই সময় নরওয়ের মৎস বিভাগ জানিয়েছিল, এ তিমিটি হয়ত খাঁচা থেকে পালিয়ে গেছে এবং এটিকে রাশিয়ার নৌ বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কারণ তিমিটি মানুষের কাছাকাছি আসছিল। নরওয়ের কর্তৃপক্ষই তিমিটির নাম রাখে হাবালদিমির।
সোমবার (২৯ মে) তিমিটির গতিবিধির ওর নজর রাখা সংস্থা ওয়ানহোয়েল জানায়, হাবালদিমির গত তিন বছর ধীরে ধীরে নরওয়ের উপকূলের অর্ধেকটা পার হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাসে গতি বাড়িয়ে দিয়ে নরওয়ের উপকূলের বাকি অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে সুইডেনে এসে পৌঁছেছে।
ওয়ানহোয়েলের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী সেবাস্টিয়ান স্ট্র্যান্ড বলেন বলেন, তিমিটি তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে। আমরা জানি না, কেন সে হঠাৎ এত দ্রুত চলাচল করছে। হয়তো একাকিত্বে ভোগার কারণে তিমিটি অন্য সঙ্গীদের খুঁজছে। কারণ বেলুগা খুবই সামাজিক প্রজাতির তিমি।
স্ট্র্যান্ড আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিমিটির বয়স ১৩-১৪ বছর। রাশিয়ার সঙ্গে যোগসূত্র থাকায় নরওয়েজিয়ানরা তাকে ‘ভ্লাদিমির’ নাম দিয়েছে। তবে তিমিটি রাশিয়ান গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছে ধারণা করা হলেও, নরওয়ের এমন ধারণার কোনো উত্তর দেয়নি রাশিয়া।
সূত্র: আল জাজিরা
টিএস