
মামলা
অফিস মানেই দায়িত্ব পালনের মাঝে ডুবে থাকা। কিছু কিছু অফিসে কাজের চাপ এতোটাই বেশি থাকে যে সেখানে ব্যক্তিগত ভাবনার ফুরসত নেই। কিন্তু এমন স্বাভাবিক সব ভাবনার উল্টোটাই ঘটল আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের রেলওয়ে অফিসে। অফিসে কাজ না পেয়ে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে বসের নামে মামলাই ঠুকে দিয়েছেন এক কর্মী।
সংবাদ মাধ্যম মিরর জানিয়েছে, এ অদ্ভুদ কাজটি করেছেন ডেরমট অ্যালস্টেয়ার মিলস নামে এক আইরিশ। প্রতিদিন নিয়ম মেনে অফিসে এলেও তাকে কাজ দেওয়া হয় না। খুব সামান্য কাজ করে সারা দিন অলস সময় কাটাতেন তিনি। সংবাদপত্র পড়ে, খাওয়াদাওয়া কিংবা হাঁটাহাঁটি করে, চ্যাটিং করেই সময়টা পার করেন অফিসে। এভাবেই চলছিল বছরের পর বছর।
কাজ না পেয়ে সারা দিন অযথাই বসে থাকার বিরক্তিতে অবশেষে অফিসের বসদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন মিলস। তার অভিযোগ, অফিসে কাজ রয়েছে। কিন্তু তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে তাকে।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের রেল বিভাগে ফিন্যান্স ম্যানেজার পদে কাজ করেন মিলস। ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর অফিসে নিয়মিত কাজ করতেন মিলস। কাজে ব্যস্ততাও ছিল তার। এক সময় রেলের তহবিলের হিসাব-নিকাশ নিয়ে কিছু গাফিলতির বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তুললে বিষয়টি ভালো ভাবে নেয়নি ঊর্ধ্বতনরা।
মিলসের অভিযোগ, এরপর থেকেই ধীরে ধীরে তার কাজ কমিয়ে দেওয়া হয়। অফিসে এলেও তাকে কাজ দেওয়া হয় না। দিলেও তা এত অল্প যে দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। অযথাই বসে থাকতে হয় অফিসে। বসদের কাছে বার বার কাজ চেয়েও আশাহত হয়েছেন মিলস। কিন্তু ফল হয়নি।
প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মিলস। তার দাবি, অফিসে আগের মতো কাজ করতে দেওয়া হোক তাকে। এ জন্য আদালতের সহায়তা চান।
মিলস বলেন, ‘আমি আদতে কোন কাজ না করেই বছরে এক লাখ ২৬ হাজার ডলার (প্রায় এক কোটি ২৯ লাখ টাকা) বেতন পাই। কিন্তু বছরের পর বছর এভাবে চলতে পারে না। আমি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে চাই।’
এমএস