ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় দেশি পর্যটকেই রক্ষা সৌদির পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনায় দেশি পর্যটকেই রক্ষা সৌদির পরিকল্পনা

অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদি আরবকে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বের করতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিকল্পনার অন্যতম অংশ পর্যটন শিল্পের বিকাশ। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান অন্তত ১০ শতাংশ করার লক্ষ্য তার। সব ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। হঠাৎই সেখানে করোনার থাবা। বৈশ্বিক এ মহামারির কারণে প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল সৌদির সীমান্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধস নামার কথা তাদের পর্যটন শিল্পে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সেটি যতটা ভয়াবহ হওয়ার কথা, ততটা হয়নি। বিদেশিদের আগমন বন্ধ থাকলেও দেশি পর্যটকদের ওপর ভরসা করেই এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে সৌদি আরবের পর্যটন খাত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে হজযাত্রী এবং অন্তত ২৫টি দেশের পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। মহামারি ভয়াবহ রূপ নেয়ায় মার্চেই বিশ্বের সব দেশের নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তারা। তবে গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ অনেকটা কমে আসায় আবারও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সৌদির পরিস্থিতি। চলতি মাসেই ৪৯টি দেশের নাগরিকদের ভিসা দেয়া শুরু করেছে তারা। আর আগামী বছরের শুরু থেকে বাকি বিশ্বের জন্যেও দ্বার খুলে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। সৌদির পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা ভ্যাকসিনের সুখবর আসলে হয়তো নতুন বছরের আগেই সব দেশের জন্য পর্যটক ভিসা উন্মুক্ত করতে পারে সৌদি আরব। তিনি জানান, মহামারির কারণে এ বছর তাদের পর্যটন খাতের আয় ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। তবে গ্রীষ্মের সময় দেশি পর্যটকেরাই এর বড় বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। আল-খতিব বলেন, এই মহামারি সবাইকে আঘাত করেছে। তবে জানুয়ারি-মে লকডাউনের পর বেশ ভালো অবস্থা ছিল। আমরা অভ্যন্তরীণ পর্যটন ৩০ শতাংশ বাড়তে দেখেছি, যা আশাতীত। এ বছর সৌদির গ্রীষ্মকালীন প্রচারণায় বিদেশে না গিয়ে নিজেদের সমুদ্র সৈকত, জঙ্গল, পাহাড় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। নাগরিকেরা এতে ব্যাপক সাড়া দেয়ায় হোটেলগুলো গড়ে ৮০ শতাংশ পূর্ণ থাকতে দেখা গেছে। সরকারি হিসাবে, সৌদি আরবে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৯০ জন, মারা গেছেন অন্তত ৪ হাজার ৬৫৫ জন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেখানে সংক্রমণের হার কমছে।
×