অনলাইন ডেস্ক ॥ মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটা আবারও প্রমাণ করলেন কেনিয়ার একদল ধনী। নভেল করোনা ভাইরাসকালে দুঃসময়ে পড়া গরিব মানুষকে তারা সহায়তা করছেন অ্যাডপ্ট এ ফ্যামেলি নামের প্রকল্পের আওতায়। তাতে খাবার জুটছে বেশ কিছু পরিবারের। আর অ্যাডপ্ট এই গ্র্যান্ডপ্যারেন্ট প্রকল্প চালু করে বলিভিয়ার গরিব বয়স্কদের খাবার যোগাচ্ছেন একদল সেচ্ছাসেবী।
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির দরিদ্র এলাকা কিবেরা। বাস আড়াই লাখ মানুষের। তাদের একজন জুডি ওয়াঞ্জুগু, পেশায় ধোপা। করোনাকালে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েন ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে। তাদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে অ্যাডপ্ট এ ফ্যামেলি প্রকল্প।
অ্যাডপ্ট এ ফ্যামিলি প্রকল্পের সহায়তাগ্রহীতা জুডি ওয়াঞ্জুগু জানান, করোনাভাইরাস শুরুর পর কাজ হারিয়েছি। এই দুঃসময়ে মনিকা নামের একজনের অর্থ সহায়তায় অসুস্থ মা-বাবা ও সন্তানদের জন্য খাবার কিনতে পারছি।
প্রকল্পটির শুরু সমাজসেবক মোজেস ওমোন্ডির হাতে। এই প্রকল্পে প্রতি পরিবারকে সপ্তাহে দেয়া হয় ১৫ মার্কিন ডলার সমমূল্যের দেড় হাজার কেনিয়ান শিলিং। দাতারা তা দেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
অ্যাডপ্ট এ ফ্যামেলি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা মোজেস ওমোন্ডি জানান, কাজ না থাকায় তাদের আয়ও নেই। এই অনুদানের অর্থে তারা খাবার কিনতে পারে। মূলত সাহায্য করতে আগ্রহী সচ্ছল পরিবারগুলোর সঙ্গে গরিব পরিবারগুলোকে যুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।
সরকারও প্রশংসা করেছে এই উদ্যোগের। এখনো বেশিরভাগ দাতাই কেনিয়ার। কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মানুষও যুক্ত হচ্ছেন প্রকল্পটিতে। আর এ পর্যন্ত ৯০টিরও বেশি পরিবার এ প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা পেয়েছে। দাতা বাড়লে গ্রহীতাও বাড়বে বলে আশা প্রতিষ্ঠাতার।
এদিকে বলিভিয়ার লা পাজ শহরের উপকণ্ঠের ষাটোর্ধ্ব দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবী। তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে অ্যাডপ্ট এ গ্র্যান্ডপ্যারেন্ট প্রকল্পের আওতায়।
স্বেচ্ছাসেবী সার্জিও রোয়ুয়েলা বলেন, আমরা এই সংকটে তাদের একাকী ছাড়তে পারি না। আমরা এই সেবা চালিয়ে যাবো এবং শেষ দিন পর্যন্ত তাদের পাশে থাকবো। কাগজপত্র না থাকায় অনেক প্রবীণই পাচ্ছেন না সরকারের বয়স্ক ভাতা।
লা পাজের বাসিন্দা ডিওনিসিও হুইগুয়া বলৈন, এটি বড় সহায়তা। এমন উদ্যোগ নেয়ায় তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।। সম্প্রতি ওষুধের জন্যও অনুরোধ করেছেন অনেক প্রবীণ। তাই খাবারের পাশাপাশি ওষুধ দেয়ার কথাও ভাবছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: