ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ ॥ শিক্ষক সাসপেন্ড, ছাত্র বহিষ্কার

প্রকাশিত: ১১:২৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ ॥ শিক্ষক সাসপেন্ড, ছাত্র বহিষ্কার

নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং নাগরিকপঞ্জির (এনসিআরসি) প্রতিবাদে যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। মঙ্গলবার এমন দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। প্রথম ঘটনাটি শিয়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ থেকে। শুক্রবার সিএএ-এনআরসি বিরোধী প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করার পর সেখানকার ফ্যাকাল্টি সদস্য রবিন বর্মাকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের ব্যাচেলরস অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (বিবিএ) প্রোগ্রামের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন রবিন। তিনি সামাজিক সংগঠন রেহাই মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিয়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের ম্যানেজার আব্বাস মুরতাজা শামসি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলেছেন, সিএএ এবং এনআরসি প্রতিবাদ বিক্ষোভে তিনি জড়িত বলে সাম্প্রতিক রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রবিন বর্মাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠাটির অর্থায়নে পরিচালিত বিবিএ প্রোগ্রামের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন। অন্য ঘটনাটি ঘটে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি উর্দু আরবি ফার্সি ইউনিভার্সিটিতে। সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে যোগ দিতে অন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানোর অপরাধে বিএ সম্মান তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্র আব্বাস খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে বহিষ্কার করার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রেজিস্ট্রার অশোক কুমার অরবিন্দ। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সিএএ এবং এনআরসির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের তোমার সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায়ও একই বিষয়ে পোস্ট দিয়েছিলে। রাজ্য সরকার উত্তর প্রদেশজুড়ে জারি করেছে ১৪৪ ধারা। তোমার এই কর্মকা- সেই নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন। এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তোমাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাংবাদিক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। ওদিকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আব্বাস খান খবরের সত্যতা স্বীকার করেন।
×