প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ এনেছেন। স্থানীয় নির্বাচনে তার ক্ষমতাসীন দলের বিপর্যয়ের পর তার পশ্চিমা সহযোগীরা বিবৃতি প্রকাশ করলে এরদোগান এ অভিযোগ আনেন। খবর এএফপির।
একেপি রবিবার স্থানীয় নির্বাচনে রাজধানী আঙ্কারায় হেরে গেলে এবং দেশের বৃহত্তম শহর ও অথনৈতিক কেন্দ্র ইস্তানবুলে স্বল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলে এরদোগান ও তার দল এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও (ইইউ) নির্বাচিত কর্মকর্তাদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেয়ার জন্য আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এরদোগান তাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা নিজেদের অবস্থানের দিকে তাকান’। তিনি সোমবারের পর এই প্রথম তার প্রথম প্রত্যক্ষ মন্তব্যে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপ তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, তুরস্ক সমগ্র বিশ্বকে গণতন্ত্র শিক্ষা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন যে কোন গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন এবং এর অর্থ হচ্ছে বৈধ নির্বাচনের ফল মেনে নেয়া জরুরী। তিনি মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন। ইইউ মুখপাত্র মাজা কোসিজ্যানসিক সোমবার বলেন, ব্রাসেলসের প্রত্যাশা, নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধিরা স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে সমর্থ হবেন এবং ইউরোপীয় পরিষদের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখবেন। তুরস্কে ভোট পর্যবেক্ষণে আসা ইউরোপীয় পরিষদের প্রতিনিধি দলের প্রধান এন্ড্রু ডওসোন সোমবার বলেছেন, তুরস্কে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ রয়েছে বলে তার টিম মনে করে না।