ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গোলিয়ার রাজনীতিতে দুর্নীতির কালো ছায়া

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

  মঙ্গোলিয়ার রাজনীতিতে দুর্নীতির কালো ছায়া

মঙ্গোলিয়ার এক কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট স্টেট গ্রেট খুরালের অধিকাংশ সদস্য পার্লামেন্ট স্পীকার মাইয়িগোম্ভিল এখবোল্ডকে ২৯ জানুয়ারি ভোটে পদত্যাগে বাধ্য করেন। দেশটিকে কয়েক মাসের রাজনৈতিক গোলযোগের পর এখবোল্ডের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ৪৩ জন সদস্য ওই বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন এবং এখবোল্ডকে ক্ষমতাচ্যুত করার ভোটে অংশ নিয়েছেন। এখবোল্ড বেশকিছু দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন। নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ। মঙ্গোলিয়ায় ধীর গতিতে জায়গা করে নেয়া রাজনৈতিক সঙ্কটে এখবোল্ডকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনা অত্যন্ত সাম্প্রতিক এক অধ্যায়। অবাধ দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে সৃষ্ট এ সঙ্কটের জন্য মঙ্গোলীয়রা তাদের সরকারের ওপর আস্থা হারিয়েছে অব্যাহতভাবে। উপরন্তু, দুই বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এখবোল্ডকে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ব্যাপকভাবে আহ্বান জানানো সত্ত্বেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার বিরুদ্ধে মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ চলে আসছিল দু’মাসের বেশি সময় ধরে। বেশিরভাগ পার্লামেন্ট সদস্য ডিসেম্বরের শুরুর দিক থেকে প্রতিবাদস্বরূপ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনগুলো বর্জন করেন। এতে ৪০ দিন সকল আইনবিষয়ক কর্মকান্ড অচল হয়ে পড়ে। পার্লামেন্ট সদস্যরা নিজেদের জন্য ১৮ জানুয়ারি নতুন ক্ষমতা অনুমোদন করার পর স্পীকারকে পদচ্যুত করার বিশেষ পদক্ষেপটি নেয়া হয়। নববর্ষের পর নতুন আইনের বিলটি সম্পর্কে মূল প্রস্তাবটি আনেন প্রেসিডেন্ট কেএইচ বাত্তুলগা। তিনি বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য।
×