কুয়েতজুড়ে বন্যায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির কর্তৃপক্ষ একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে।
শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর খবর অস্বীকার করে ‘মাত্র একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে’ বলে জানিয়েছে, খবর ওয়েবসাইট।
শুক্রবার দেশজুড়ে বন্যা দেখা দেয়ার পর জরুরী অবস্থা জারি করেছিল কুয়েত অয়েল কোম্পানি, শনিবার জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা।
বন্যার পর কুয়েতের তেল স্থাপনাগুলোতে ফের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
কোম্পানির এক টুইটে কুয়েতের অয়েল সেক্টরের মুখপাত্র তালাল আল খালেদ বলেছেন, ‘কুয়েত অয়েল কোম্পানি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো থেকে জরুরী অবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে, কিন্তু খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য জরুরী ঘরগুলো সচল করা হচ্ছে।’
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কগুলো থেকে পানি সরাতে সেনাবাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড নামানো হয়েছে।
শুক্রবারের বন্যাজনিত সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পাবলিক ওয়ার্কস মন্ত্রী হুমাস আল রৌমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রবিবার বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন কুয়েত পার্লামেন্টের স্পীকার মারজুক আল ঘানিম।
শুক্রবার ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় জর্দানে ১২ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।