ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিরীয় বিদ্রোহীরা সপরিবারে শেষ বড় ছিটমহল ছাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ৯ মে ২০১৮

সিরীয় বিদ্রোহীরা সপরিবারে শেষ বড় ছিটমহল ছাড়ছে

সিরীয় বিদ্রোহীরা তাদের দখলে থাকা অবরুদ্ধ শেষ বড় ছিটমহল থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। হাজার হাজার যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বাসে করে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যেতে হামা ও হোমস শহরের মাঝামাঝি এলাকার ওই ছিটমহলটি ছাড়ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থক রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে এক চুক্তি অনুযায়ী এসব বিদ্রোহী যোদ্ধাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর সরকারী বাহিনী অভিযানের মুখে ছিটমহলটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো বিদ্রোহীরা। এ ছিটমহলটির মধ্যেই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর রাস্তান অবস্থিত। আসাদবিরোধী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির নেতা ও রুশ জেনারেলদের মধ্যে গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ আলোচনার পর বিদ্রোহীরা এলাকাটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়, যার শর্ত হিসেবেই তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইদলিবে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে বিদ্রোহীদের বহনকারী বাসকে পাহারা দেয়ার এবং ছিটমহলে থেকে যাওয়া বেসামরিক সুন্নিদের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা শিয়া আলাউইতদের প্রতিশোধমূলক হামলা থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়ার মিলিটারি পুলিশ। ভারি অস্ত্রশস্ত্র জমা দিলেও ইদলিব যাওয়ার পথে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হালকা অস্ত্র বহন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চুক্তিতে রাজি হওয়ার আগে রাশিয়ার বিমানগুলো বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ছিটমহলটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে। ‘বেসামরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করার পর তারা (রুশ বাহিনী) বিদ্রোহীদের হাতে আর কোন বিকল্প রাখেনি। বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ কিংবা বেসামরিকদের মূল্য দিতে হবে এমন ধ্বংসের মধ্যে একটি বেছে নেয়ার সুযোগ দেয় তারা,’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন আজিজ আল বারাজি, বিদ্রোহীদের হয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ছিটমহল ছেড়ে যেতে বিদ্রোহীদের দুই দিনের মতো লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি বলছে, গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কে সরকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে বিদ্রোহীদের ছেড়ে দেয়া শেষ বড় এ ছিটমহল। হোমসের ভেতর দিয়ে আলেপ্পো ও দামেস্ককে সংযুক্ত করেছে এম ফাইভ নামে পরিচিত ওই মহাসড়কটি। ছিটমহলটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাত বছরের গৃহযুদ্ধে সিরিয়া পুনরুদ্ধারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল রাশিয়া ও ইরানের সাহায্যপুষ্ট আসাদবাহিনী। সিরিয়ার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশই এখন কেবল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকল।
×