সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনার কথা নাকচ করে দিয়েছে। উভয় দেশের শাসকদের মধ্যে শনিবার টেলিফোনে কথাবার্তার পর সৌদি আরব এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। খবর এএফপির।
আরব অধ্যুষিত সুন্নীপ্রধান দেশ দুটির মধ্যে টেলিফোন আলাপের আগে সবার মাঝে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছিল, এবার হয়তো তিন মাসব্যাপী উপসাগরীয় সঙ্কট নিরসনের পথ উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয় দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়ায় এই আশার সঞ্চার হয়েছিল। উপসাগরীয় দেশ কাতারের বিরুদ্ধে ইসলামী চরমপন্থী দলগুলোকে অর্থ সাহায্য দেয়াসহ আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সৌদি আরব প্রায় তিন মাস আগে আরও কয়েকটি মিত্রদেশকে সঙ্গে নিয়ে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সেই সঙ্গে দেশটির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে কাতার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
সৌদি জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এসব দেশ তাদের জল, স্থল ও আকাশপথ অবরুদ্ধ করে কার্যত কাতারকে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। শনিবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার আগ্রহ ব্যক্ত করেন বলে সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়। এতে আরও বলা হয়, সৌদি যুবরাজ কাতারের আগ্রহকে স্বাগত জানান। তবে জোটবদ্ধ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর বিস্তারিত বিবরণ জানানো হবে বলে এসপিএ জানায়। কিন্তু উভয় পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক এই সম্পর্কের আশাবাদ শীঘ্রই হতাশায় রূপ নেয় সৌদি সংবাদ সংস্থার বিপরীতধর্মী এক খবরের মাধ্যমে। সংবাদ সংস্থাটি জানায়, কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি আরব সম্পর্কে এই মর্মে ভুল খবর পরিবেশন করেছে, তারা আগ বাড়িয়ে কাতারকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসপিএ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সৌদি যুবরাজের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ কাতারের কাছ থেকেই সর্বপ্রথম আসে এবং তারাই আলোচনা শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে কাতার আলোচনার প্রশ্নে আন্তরিক নয় এবং তারা তাদের পূর্বের নীতি অনুসরণ করছে। তাই সৌদি আরব ঘোষণা করছে যে, কাতার তার অবস্থানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রকাশ্যে না দেয়া পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে সৌদি আরব কোন ধরনের আলোচনায় বসবে না।