ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বড় বড় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

ইউরোপীয় শহরগুলোতে বর্ষবরণে নিরাপত্তা বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১ জানুয়ারি ২০১৭

ইউরোপীয় শহরগুলোতে বর্ষবরণে নিরাপত্তা বৃদ্ধি

ইংরেজি নববর্ষ সামনে রেখে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও শহরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গেল সপ্তাহে বার্লিনে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পর শুক্রবার বিভিন্ন শহরের বিপণিবিতান ও গণজমায়েত স্থলগুলোতে প্রতিরোধক বসানোর পাশাপাশি পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। খবর ইয়াহু নিউজের। জার্মানির রাজধানী বার্লিনের ব্রানডেনবার্গ গেটের সামনে পারিজা প্লাতজ স্কয়ার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত এক হাজার ৭০০ পুলিশ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিরোধক দিয়ে এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। সাঁজোয়া যানও প্রস্তুত রয়েছে। বার্লিন পুলিশের মুখপাত্র থমাস নয়েনডফ বলেন, সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সাব-মেশিনগানও বহন করবেন, জার্মানির পুলিশের জন্য যা অস্বাভাবিক। গেল সপ্তায় বার্লিনে তিউনিসিয়ার একজন নাগরিক একটি ক্রিসমাস মার্কেটে ট্রাক হামলা চালায়। এ ঘটনার পর থেকে জার্মানির আইনপ্রণেতারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ডাক দেন। ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মিলানে ওই হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সেখানকার প্রধান চত্বরেও নিরাপত্তা তল্লাশি বসানো হয়েছে। রোম ও নেপলসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ট্রাক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে মেশিনগান নিয়ে পুলিশ ও সেনা প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্পেনের মাদ্রিদে অতিরিক্ত এক হাজার ৬০০ পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয় বছরের মতো শহরটির পুয়ের্তা দেল সল স্কয়ারে গণজমায়েত বন্ধের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবেই এ স্কয়ারে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়ে থাকেন। কিন্তু এবারও তা ঠেকাতে পুলিশ স্কয়ার ঘিরে প্রতিরোধক বসিয়েছে। গেল বছর পশ্চিম জার্মানির কোলনের একটি স্টেশনের বাইরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে শত শত নারী যৌনপীড়ন ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। পুলিশ এ স্কয়ারটি পর্যবেক্ষণে নতুন নজরদারি ক্যামেরা বসিয়েছে। কোলনে ওই হামলা-পীড়নের ঘটনায় প্রধানত উত্তর আফ্রিকান ও আরবদের দায়ী করা হয়েছে। আর এরপরই দেশটিতে চ্যান্সেলর মেরকেলের প্রায় ৯ লাখ অভিবাসী-শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। বার্লিনে হামলার ঘটনাটি সেই সমালোচনার আগুন আরও উস্কে দিয়েছে। ফ্রাঙ্কফুর্টে ৬ শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে বর্ষবরণ উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ সংখ্যা ২০১৫ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। গত বছরের মার্চে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আইএসের আত্মঘাতী জঙ্গীদের হামলায় ১৬ জন নিহত ও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। শহরটির মেয়র নববর্ষ বরণের আতশবাজি পোড়ানোর বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাতিল না করে অনুষ্ঠানটি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ২০১৫ সালের নবেম্বরে আইএস জঙ্গীদের হামলায় ১৩০ জন নিহত হন।
×