ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক নাটক

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৬ জুন ২০২৫

ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক নাটক

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলা সিইও এলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব গড়িয়ে উঠেছে নতুন মাত্রায়। মাস্ক এক টুইটে অভিযোগ তুলেছেন, ট্রাম্পের নাম রয়েছে আলোচিত যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টেইনের ফাইলে। যদিও মাস্ক কোনো প্রমাণ দেননি, তার এই দাবির পর ট্রাম্প এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

এ ব্যাপারে মাস্ক লিখেছেন, “সত্য ফাঁস হওয়ার সময় এসেছে, ট্রাম্প এপস্টেইনের ফাইলে রয়েছে। এ কারণেই সেগুলো প্রকাশ করা হয় নি।” ট্রাম্প আগেও স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি কখনো এপস্টেইনের প্লেনে উঠেননি এবং তার ‘বোকা’ দ্বীপে যাননি।

এই বিবাদ শুরু হয় যখন মাস্ক ট্রাম্পের ২০২৪ সালের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত বড় আইন প্যাকেজের তীব্র সমালোচনা করেন। মাস্ক অভিযোগ করেন এই বিল দেশের ঋণ বাড়াবে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন করবে। মাস্কের অভিযোগের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি মাস্কের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল কিন্তু এখন হয়ত আর থাকবে না।

ট্রাম্প আরো বলেন, মাস্ক ‘পাগল হয়ে গেছে’ এবং তিনি তার সরকারের ইভি (বৈদ্যুতিক যান) সংক্রান্ত অনুদান এবং সরকারি চুক্তি বন্ধ করার হুমকি দেন। মাস্ক, একদিকে যেমন বিলের সমালোচনা করছেন, অন্যদিকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধেও বক্তব্য দিয়েছেন যা দেশের মন্দার কারণ হতে পারে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মাস্ক বা তার প্রতিনিধি কোনো সাড়া দেননি।

২০২৪ সালে এই ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বিলটি হাউসে এক ভোটে পাশ হলেও এখন সেনেটে একটি গোষ্ঠীর বিরোধিতার মুখে পড়েছে। মাস্ক মনে করেন এই বিল দেশের ঋণ ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়াবে।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাস্ক আসলে অসন্তুষ্ট কারণ বিল থেকে বৈদ্যুতিক যান কর সুবিধা সরানো হচ্ছে, যা মাস্কের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। মাস্ক এর আগে স্পিকার মাইক জনসনের সঙ্গে বৈঠকে কর সুবিধা বজায় রাখার জন্য কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, ট্রাম্পের ফাইলে থাকা নামের উপস্থিতি, এপস্টেইনের প্লেনের লগে নাম থাকা, এবং এপস্টেইনের সঙ্গে তার পূর্বের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বহুবার আলোচিত হয়েছে। এপস্টেইন ২০১৯ সালে জেলে আত্মহত্যা করেন।

ট্রাম্প-মাস্কের এই ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক টুইট যুদ্ধ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুর পাশাপাশি ব্যক্তিগত এবং বৈষম্যমূলক আঙ্গিকে পৌঁছেছে, যা আগামী সময়ে আরও উত্তপ্ত হতে পারে।

ফরিদ
 

×