ডোনাল্ড ট্রাম্প
চীনের পাল্টা শুল্কের জবাবে ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী চীনা বেশকিছু পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জানান, বুধবার থেকেই চীনের ওপর এ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এর আগে গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি যা পূর্বে আরোপিত শুল্কসহ ৫৪ শতাংশে দাঁড়ায়।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন ৩ এপ্রিল চীন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ বাতিল করার আহ্বান জানায় এবং ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। জবাবে চীনের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। ৭ এপ্রিল ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, চীন যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকরভাবে চীনের ওপর অতিরিক্ত আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।
সেই সঙ্গে আমাদের সঙ্গে চীনের অনুরোধকৃত সব আলোচনা বাতিল করা হবে। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে বেজিং মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার না করায় এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো। এর আগে এক্স, ট্রুথ সোশ্যালসহ একাধিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ট্রাম্প লেখেন- তেলের দাম কমেছে, সুদের হার কমেছে, খাদ্যের দাম কমেছে, কোনো মূল্যস্ফীতি নেই।
যেসব দেশ আমাদের শোষণ করত, শুল্কের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যুক্তরাষ্ট্র এখন সপ্তাহে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আদায় করছে। পোস্টে চীনকে সবচেয়ে বড় শোষক বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প। তিনি লেখেন, সবচেয়ে বড় শোষক চীনের বাজার ভেঙে পড়ছে। তারা আমার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে, পাল্টা প্রতিক্রিয়া না দেখানোর অনুরোধ অগ্রাহ্য করে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে- যা তাদের আগের অবিশ্বাস্য উচ্চ শুল্কগুলোর ওপর বসানো হয়েছে।
