ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

নতুন মায়েদের সবাই শেখাতে আসে, কিছু জানুক আর না জানুক

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ১৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩৮, ১৯ জুন ২০২৫

নতুন মায়েদের সবাই শেখাতে আসে, কিছু জানুক আর না জানুক

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিমনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের মা হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, নতুন মা হিসেবে অনেকেই তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন—কিছু সঠিক, আবার কিছু ভয়ঙ্কর ভুল।

স্ট্যাটাসে পরিমনি লেখেন, এক সময় তার এক পরিচিত নারী—যাকে তিনি মায়ের মতো সম্মান করেন—তাকে শিখিয়েছিলেন বাচ্চাকে খুব কম বয়সে ডিমের কুসুম খাওয়ানো, ওয়াকারে বসানো ইত্যাদি, যেগুলো বর্তমানে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। যদিও এই পরিচিতজন তাকে কিছু ভালো পরামর্শও দিয়েছেন, যেমন সঠিকভাবে ব্রেস্টফিডিং বা শিশুর গ্যাস চিহ্নিত করা, তবে পরীমনির মতে, সব মা-কে শেখানোর প্রবণতা না জেনে বুঝে উপদেশে পরিণত হয়।

স্ট্যাটাসের মূল বার্তাটি ঘোরে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে, যেখানে এক মা তার তিন বছরের শিশুকে ঈদের শপিংয়ে নিয়ে গিয়ে বলেন—“বাচ্চাকে সবকিছু কিনে দিলে ভালো প্যারেন্টিং হয় না। জামা অথবা খেলনা—একটা নিতে পারবে।” পরিমনি এই ধরনের অভ্যাসকে ‘অভাব শেখানো’ নয় বরং শিশুকে কৃপণতা শেখানোর নামান্তর বলে মনে করেন।

তিনি লেখেন, “ছোট্ট একটা বাচ্চাকে আপনি কিভাবে ‘অভাব’ শেখান? আপনি তো তাকে মনুষ্যত্ব শেখাবেন, যেন সে ভবিষ্যতে অভাব না বুঝে ‘অভাববোধ’ বুঝতে পারে।”

পরিমনি বলেন, তার সন্তানকে তিনি ছোট থেকেই খেলনার দোকানে গিয়ে বলতে শেখান—"তোমার যা ভালো লাগে, তা নিতে পারো।" এতে তিনি সন্তানের পছন্দ, বিবেচনা ও উদারতা দেখেন। এমনকি ছেলেটি নিজে থেকেই ক্ষতিকর খেলনা যেমন পিস্তল বা বন্দুক নেয় না।

তিনি আরও জানান, তার ছেলে খেলনা কিনে অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়, যা তার বয়স অনুযায়ী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা—মন উদার রাখা।

পরিমনির আবেদন, প্রত্যেক সন্তানের বেড়ে ওঠার পথ আলাদা। কিন্তু অভিভাবকদের উচিত না সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সমাজের তথাকথিত ‘গুড প্যারেন্টিং’ প্রতিযোগিতায় নিজেদের সন্তানকে ঢুকিয়ে দেওয়া।

শেষে তার বার্তা স্পষ্ট:
"আপনার সাধ্য থাকলে শিশুকে কৃপণতা নয়, উদারতা শেখান। তাহলেই সে বড় হয়ে হবে মানুষ, কেবল সমাজের একটি মুখোশ নয়।"

মুমু

×