
ছবি: সংগৃহীত
গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রীর বিয়ে সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন আদালত উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এই বিয়ের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী এ বিষয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নোবেল বর্তমানে জেল হাজতে আটক রয়েছেন। বাদিনী ও আসামির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলা দায়ের হয়েছিল, কিন্তু এখন তারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক। আদালত আবেদনটি শুনানি শেষে মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে রাজধানীর ডেমরা এলাকার একটি বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে তাকে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান। পরে অজ্ঞাতনামা আরও ২–৩ জনের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে একটি রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে সাত মাস ধরে ওই ছাত্রীকে বন্দি করে রাখেন।
পরে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ছাত্রীর পরিবার তাকে শনাক্ত করেন। তারা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে গেলেও পরে প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর ২০ মে নোবেলকে আদালতে হাজির করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতের জি-বাংলা টিভির ‘সা রে গা মা পা’ রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন মাইনুল আহসান নোবেল। তবে পরবর্তীতে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০২৩ সালের এপ্রিলে কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে অসংলগ্ন আচরণের কারণে দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন।
সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কনসার্ট ও টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যেই নতুন অভিযোগে তাকে আবারও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়।