ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভারত যাচ্ছে পদাতিকের ‘গহনযাত্রা’

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৭ জুলাই ২০১৮

 ভারত যাচ্ছে পদাতিকের ‘গহনযাত্রা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদাতিক নাট্য সংসদের অন্যতম প্রযোজনা ‘গহনযাত্রা’ নাটকটি কলকাতার চাকদহ নাট্যজন ও হালিশহর চতুর্থ সূত্রের যৌথ আয়োজনে এবং আমন্ত্রণে আগামী ২১ জুলাই মঞ্চায়ন হবে। এর আগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘গহনযাত্রা’ নাটকের ২৫তম মঞ্চায়ন হয়। রুবাইয়াৎ আহমেদের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকে একক অভিনয় করেন সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা। নাটকের কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে এই ভূখ-ের কোন এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা বিপরীত সব মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে শুধুমাত্র একটি মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্যে তারা চালায় ধ্বংসলীলা, বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে। বন্দীদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। কিন্তু মারা পড়ে তারা। শুধু একজন বেঁচে যায়। সালমা। কিন্তু বেঁচে গিয়ে ফিরে আসে সালমা। খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে। এই সময়ে সালমা নিজের অভ্যন্তরে টের পায় অপর কারও অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব হয়তো তারই বর্ধিত কোন রূপ কিংবা অপররূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। আমরা জানি না। সেই অস্তিত্ব তার সঙ্গী হয়। মৃতদের কবর দেবার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের। খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তক ঝুলে আছে সেই পুরুষ। সালমা উগ্রপন্থিদের হাতে ধরা পড়ে। তাকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঠিক তখন সালমা উপলব্ধি করে এ তার পরীক্ষা, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে পাবে পরমের সান্নিধ্য। সালমার নিজের অন্তর্ধানের মধ্য দিয়ে মঙ্গল কামনা করে, যেন সব অনাচার আর বিভেদ লুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। নাটকের নির্দেশনা সহযোগ সঞ্জীব কুমার দে, সঙ্গীত পরিকল্পনা সাইম রানা, সঙ্গীত সঞ্চালন মেহেদী হাসান মেধা, মঞ্চ পরিকল্পনা, সুদীপ চক্রবর্তী, আলোক পরিকল্পনা আতিকুল ইসলাম জয়, দ্রব্য ও মুখোশ পরিকল্পনা, সঞ্জীব কুমার দে, মঞ্চ ও মুখোশ নির্মাণ তৈমুর হান্নান পোশাক ও রূপসজ্জা পরিকল্পনা শামছি আরা সায়েকা, মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় মমিনুল হক দীপু।
×