ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যরাতে রাস্তায় নামলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১৬ মার্চ ২০২৩

মধ্যরাতে রাস্তায় নামলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ভিসির বাসভবনের সামনে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে মধ্যরাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে রুমের দাবিতে এই অবস্থান শুরু করেন তারা। পরে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের আশ্বাসে পর রাত ৩টার দিকে অবস্থান থেকে সড়ে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, স্যার এ এফ রহমান হলের ১১১ নম্বর রুমে ৪৩ জন শিক্ষার্থী থাকেন। রুমটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নিয়ন্ত্রণাধীন। রুমটিতে ৪ জনের জায়গায় সর্বোচ্চ ৮ জন থাকা সম্ভব। কিন্তু সেখানে ৪৩ জন শিক্ষার্থী থাকেন। শুধু তাই নয় এইটুকুতে থাকার জন্যেও অনেক প্রকার নির্যাতন ও অপমান সহ্য করতে হয়।

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, নিয়মিত ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করা সত্বেও আমাদের আর একটা রুম দেওয়া হচ্ছে না। ৪ জন থাকার রুমে ৪৩ জন থাকা একপ্রকার অসম্ভব। সমস্যার কথা জানালে তারা (ইমিডিয়েট সিনিয়র) বলেন, ‘তোরা পচে মর, আমাদের সমস্যা নাই’। পাঁচ মিনিটের আল্টিমেটামে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র নেওয়ার সময় পর্যন্ত তারা দেয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা রুমের দাবি জানানোয় আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়ররা আমাদের রুম থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের এখন যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমরা মাথা গোঁজার জন্যে একটু ঠাঁই চাই। আমাদের অনেকের কালকে পরীক্ষা আছে। কয়েকজন অসুস্থ ছিল, তাদের ধরে ধরে বের করে এখানে নিয়ে আসছি আমরা। আমাদের দাবি না মানলে এখান থেকে চলে যাব না।

রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান উপস্থিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রুম দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হলে ফেরত পাঠান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে আমার বিবেকের টান থেকেই এখানে এসেছি। এফ রহমান হল যেহেতু আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম হল ছিল। আমি জানিও না তারা কারা বা কি হয়েছে। তবে শুনেছি এফ রহমান হলের কিছু শিক্ষার্থীর আবাসন নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এ জন্য তারা উপাচার্যের বাসার সামনে এসে নিজেদের দুঃখ কষ্টগুলো প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, তাদের বিষয়টি বুঝতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রনেতা হিসেবে সমস্যাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করতে এসেছি। আমার বিশ্বাস আমি সমাধান করতে পেরেছি। আমি ওদের বুঝিয়ে এই রাতে যাতে রাস্তায় কষ্ট করতে না হয় সেজন্য হলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওরা হাসিমুখে সবাই হলে ফিরেছে।

 

এমএস

×