ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৬ মে ২০২৩

সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

সার্ক চেম্বারের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন বিদায়ী সভাপতি পাকিস্তানের ইফতিখার আলি মালিক।

সার্কের সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্যের সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে 

সার্কভূক্ত দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলোর সার্ক চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সার্ক-সিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। আগামী ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন। 

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সার্ক চেম্বারের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন বিদায়ী সভাপতি পাকিস্তানের ইফতিখার আলি মালিক।

এফবিসিসিআইর সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। 

অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ব্যক্তিত্ব বা সিআইপি সম্মাননা পেয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা। মো. জসিম উদ্দিন প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্পাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন।  দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। 

এছাড়া তার ব্যবসা ছড়িয়েছে গণমাধ্যম, ব্যাংক, বীমা, হোটেল, আবাসন, সিমেন্ট, ইলেক্ট্রনিকস পণ্য, কেমিক্যাল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ট্রেডিং, তৈরি পোশাক ও পশু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন খাতে। জাকজমকপূর্ণ এই দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাতের শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রওমন্ত্রী ড. মোমেন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিনসহ দেশের ও সার্কের অনান্য অঞ্চলের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে জসিম উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের অমিত সম্ভাবনা বিরাজ করছে। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিশাল এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। 

দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও জোরদারে সদস্য দেশগুলোকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।  এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বারের সভাপতি আরও বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি প্রধান আকর্ষণ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অনন্য সুযোগ রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার  দেশগুলোর। 

এই অঞ্চলের তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে সেটি এই অঞ্চলের জন্য আশির্বাদ বয়ে আনবে। দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল এই ভোক্তা বাজার আমাদের জন্য এক ধরণের আর্শিবাদ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

এমএস

×