ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

    সরকারি দামে চামড়া বিক্রি অসম্ভব, অভিযোগ আড়তদারদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ৮ জুন ২০২৫

    সরকারি দামে চামড়া বিক্রি অসম্ভব, অভিযোগ আড়তদারদের

দৈনিক জনকণ্ঠ

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহের পর বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভোলার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তাঁরা।

তবে পাইকারি ক্রেতারা বলছেন, লবণের দাম, পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ বাড়ায় চামড়ার বেশি দাম দিতে পারছেন না তারা। এছাড়া ঢাকার মোকামে সরকার নির্ধারিত দাম  পাওয়া নিতেও শঙ্কা রয়েছেন আড়তদাররা।

স্থানীয়রা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহ চলছে ভোলার পাইকারি আড়তগুলো। ভোলা কালিনাথ রায় বাজার চামড়া আড়ৎ সহ বিভিন্ন এলাকার সরেজমিনে দেখা যাবে,

চামড়া ব্যবসায়ীরা গরু ও ছাগলের চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ চামড়াগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছেন। কেউ বা লবণ দিয়ে একটার পর একটা চামড়া স্তূপ করে সংরক্ষণে ব্যস্ত শ্রমিকরা। আগামী ৪/৫ দিন ধরেই এই সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। 

জানা যায়়,লাভের আশায় পাড়া-মহল্লায় কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বা সংগ্রহ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সেই চামড়া আঘাতে বিক্রি করতে গেলে কাঙ্ক্ষিত দাম পায়নি তারা। আবার কেউ কেউ সরকারি বরাদ্দকৃত লবণ না পেলে চামড়া সংরক্ষণ করতে পেরে পারেনি।

যার ফলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম মূল্যে বাধ্য হয়ে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান, ভোলা পৌর বাপ্তা জামে মসজিদ গোরস্তান মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিকুর রহমান স্বপন গোলদার।

তবে  মো. ইলিয়াস সহ অন্যান্য আড়তদার জানান, লবণের দাম, শ্রমিকের পারিশ্রমিক মূল্য বৃদ্ধি সহ অন্যান্য খরচ বাড়ায় চামড়ার দাম সরকার নির্ধারিত দাম দিতে পারছেন না তারা।

এছাড়া সরকার চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ঢাকার মোকামগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনতে চান না। পাশাপাশি ঢাকার চামড়া বিক্রি করতে গেলে তারা নগদ মূল্য দেয় না।টাকাপয়সা নিজেও গড়িমসি করার অভিযোগ করেন তারা।

চামারার আড়ৎদারগন সরকারি লবণ না পেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।চামরার আড়ত মালিকরা আরো জানান, তারা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করে মোকামে পাঠালেও সেখানে সিন্ডিকেট কারণে নানা প্রতারণার শিকার হন। তাই মফস্বলের ব্যবসায়িদের সঠিক দাম নিশ্চিতের দাবি তাদের। 

খুচরা ক্রেতা মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অধিকাংশ চামড়া এতিম খানা ও মাদরাসায় দান করে দিয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চামড়া জড়ো করে আড়তে নিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় এবারের চামড়ার দাম কিছুটা বেশি। গরুর চামড়া প্রকারভেদে  ৬শ' থেকে ১ হাজার পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে।

ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, ভোলা জেলা যারা চামড়া সংরক্ষণ করে তাদের  লবণ দেয়া হয়েছে।  তাই যথাযথ ভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
 

হ্যাপী

×