ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ড. শাহরীনা আখতার

কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

প্রকাশিত: ২১:০২, ৯ এপ্রিল ২০২২

কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

ছোট আয়তন, বিপুল জনসংখ্যা এবং সারাদেশ প্রায় সমুদ্র-সমতলে হওয়ায় এ দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। জাতিসংঘের ইন্টার্গভার্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসির মতে বাংলাদেশ পৃথিবীর সপ্তম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব এ দেশে ব্যাপকহারে পড়েছে। এর ফলে দেশটিতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, খরা ও নদী ভাঙ্গনের মতো দুর্যোগ প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে এই ঝুঁকি আরও বেড়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এ দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে কার্বন নিঃসরণের হার কমানো ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ হ্রাস করার কথা ছিল। কিন্তু কোন দেশই এখন পর্যন্ত এই বিষয়গুলো তেমন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়নি। ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ আরও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে আজ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন তাই চরম বাস্তবতা। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ২০০৬ সালে ছিল ১৪.৫০ সেন্টিগ্রেড। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.৭০ সেন্টিগ্রেড। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ০.৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৯৬১ সালের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির (০.০৬ শতাংশ) চেয়ে ১০.২ গুণ বেশি। এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে শস্য, মৎস্যসম্পদ এবং প্রাণিসম্পদ তথা সামগ্রিক কৃষির ওপর। এই প্রভাবসমূহ থেকে উত্তরণের প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলসমূহ শনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই কৃষি নিশ্চিত করতে গবেষণা করা জরুরী। আর এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০১০ সাল থেকে কাজ করা শুরু করে। কেজিএফ প্রথমে Network for Climate Change in Agriculture (NCCA) নামে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে যার অধীনে দেশের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী প্রায় ১২০ জন কৃষি বিজ্ঞানীকে চিহ্নিত এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। সে সময় কেজিএফ-এর ড. নূরুল আলম, নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে এবং ড. আবদুল হামিদ, পরিচালকের (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) উদ্যোগে নার্স অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর হতে আগ্রহী বিজ্ঞানীদের নিয়ে প্রকল্প পরিচালনার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্ল্যাটফর্মটি কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসমূহ নির্ধারণ, পূর্বাভাস ও ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিভিন্ন মডেল ও সফটওয়্যার যেমন Simulation Model, GIS, Remote Sensing, R Programme ইত্যাদিতে পারদর্শী করে গড়ে তোলে। অতঃপর কেজিএফ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) বিজ্ঞানীদের প্রণীত “Modeling Climate Change Impact on Agriculture and developing mitigation and adaptation strategies for sustaining agricultural production in Bangladesh” শীর্ষক একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে শস্যের মডেলিং নিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪০ জন বিজ্ঞানী সম্পৃক্ত থেকে সফলভাবে গবেষণা কাজ করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ুর বিভিন্ন উপাদান (Weather elements) কিভাবে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন প্রক্রিয়া, মাটির গুণাগুণ, ফসলের ক্ষতিকারক পোকা-মাকড়, রোগবালাই ইত্যাদিকে প্রভাবিত করে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। এজন্য বিদেশ থেকে একজন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীকে কেজিএফ সাময়িক নিয়োগ দেয়। তিনি একাধিকবার এদেশে এসে জলবায়ু মডেল ব্যবহার এবং তাদের প্রয়োগ নিয়ে প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রকল্পের সময়কাল ছিল তিন বছর। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা গবেষণা ও মডেল ব্যবহার করে ধান, গম, মুগ, সরিষা ও সংশ্লিষ্ট শস্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণে দক্ষ হয়ে ওঠেন। প্রকল্পের গবেষণালব্ধ ফলাফলসমূহের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রায় ৩০টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এছাড়াও প্রথম পর্যায়ের গবেষণা কাজ এবং আমন্ত্রিত গবেষকদের লেখার সমন্বয়ে একটি বই (Climate Change and Bangladesh Agriculture: Adaptation and Mitigation Strategies) প্রকাশ করা হয়। এসব কার্যক্রম এদেশের কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এভাবে ২০১৮ সালের জুন মাসে ৫টি ফসলকেন্দ্রিক ৩ বছরব্যাপী গবেষণার মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য ফসল ও কম্পোনেন্ট বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসমূহ নির্ধারণ, পূর্বাভাস ও ভবিষ্যদ্বাণীর প্রয়োজনে মডেলিং সংক্রান্ত আরও গবেষণা করার দরকার আছে বলে মনে হয়। এজন্য জ্ঞান আহরণ, দক্ষ ও পারদর্শী জনবল তৈরির কথা মাথায় রেখে কেজিএফ-এর বর্তমান নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাসের উদ্যোগে এবং বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের নেতৃত্বে আরও তিন বছরের জন্য ২০২০ হতে প্রকল্পটির ২য় পর্যায়ের জন্য অর্থায়ন করে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়েও কিছু গবেষণা কাজ কেজিএফ-এর অর্থায়নে চলমান থাকে। ২য় পর্যায়ে ফসল ছাড়াও মৎস্য-প্রাণিসম্পদ ও আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয়া হয়। আগের ৩টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মৎস্যসম্পদ নিয়ে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করা হয় এবং প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিপালন ও চিকিৎসা বিভাগকে সম্পৃক্ত করা হয়। কাজটির অগ্রগতি লক্ষণীয়। ইতোমধ্যে ২য় ধাপের একবছরের গবেষণার ওপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা জার্নালে ৭টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাদের গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মে-অক্টোবর মাসের বেশিরভাগ সময় হাওড়ের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে থাকবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১-২০৪০ এবং ২০৪১-২০৭০ নাগাদ মার্চ, মে, জুন, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। গত ১২ বছরে রাজশাহীতে খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে স্থানভেদে ১-৩০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে আমনের ফলন ৫-৩০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাপমাত্রার ১-৪০ সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধিতে একইভাবে বোরোর ফলন উল্লেখযোগ্যহারে কমতে পারে। জৈব সারের সঙ্গে উপযুক্ত পরিমাণ বাণিজ্যিক সার ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির কার্বন-সিকুয়েস্ট্রেশন (বায়ুম-লের বাড়তি কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রাকৃতিক উপায়ে কার্বন যৌগ হিসেবে মাটিতে ফিরে আসা) বৃদ্ধি পায়। ফলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শুধু ফলনই বৃদ্ধি করে না, সেইসঙ্গে মাটি ও ফসলের গুণগতমানও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। গবেষণায় বোরো মৌসুমে সেচনির্ভর ধান চাষের ক্ষেত্রে প্রতি হেক্টরে ৬৬০ কেজি পর্যন্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ (বসরংংরড়হ) হতে দেখা যায়। তবে বৃষ্টিনির্ভর কৃষি হলে এবং এডব্লিউডি (এক ধরনের সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি) সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে এই নিঃসরণের পরিমাণ কমে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ধাননির্ভর নয় এমন কৃষি দ্বারা গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো সম্ভব। প্রাণিসম্পদ সেক্টর হতে প্রচুর পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সমন্বিতভাবে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের ওপর গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত পীড়নে প্রাণিকূলের ওপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। আবহাওয়ায় যখন বাতাসের বেগ, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ইত্যাদি বেড়ে যায় তখন তাপমাত্রাজনিত পীড়ন আরও বেড়ে যায়। তখন দুধ, মাংস ইত্যাদির উৎপাদন ও গুণগতমান হ্রাস পায়। পোল্ট্রি শিল্পেও উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব ব্যাপক। একইভাবে মৎস্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা ফলাফল অনুসারে বলছেন যে, পানির গুণগতমান এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে তেলাপিয়া মাছের বৃদ্ধি এবং প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষিক্ষেত্রে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙ্গন, হঠাৎ বৃষ্টি, তাপমাত্রাজনিত পীড়নসহ কৃষি পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে ফসলের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। যদিও পলির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে কোথাও কোথাও ভূমির ব্যবহার উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়; কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় এ লাভ এখনও অপ্রতুল। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং খাদ্য- পুষ্টির নিরাপত্তাসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন তাই প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে কৃষি, যা এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০১৬-১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী শ্রমশক্তির ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ এখনও কৃষিতে নিয়োজিত। মানে কৃষি এখনও শ্রমশক্তি নিয়োগের বড় ক্ষেত্র। ফসল-মৎস-প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের ধরন, সামুদ্রিক মৎস্য ও অন্যান্য সম্পদ আহরণ ইত্যাদির ওপরে জলবায়ুর পরিবর্তন কেমন প্রভাব ফেলবে তা ভালভাবে জানা-বোঝার জন্য যথাযথ আঙ্কিক মডেলের কোন বিকল্প নেই। তাই এ বিষয়ে অবিরত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং কৃষি গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ধরনের সরকারী অনুদান এবং তহবিল ব্যবহার করে নানা ধরনের গবেষণা করে থাকে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) ট্রাস্ট ফান্ডের তহবিল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গবেষণা করতে ইচ্ছুক কৃষি বিজ্ঞানীদের গবেষণা বরাদ্দ নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড সরাসরি এই ধরনের প্রকল্পকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে অর্থায়ন করে থাকে। আর গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড পিকেএসএফ ও ইডকল (ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির লিমিটেড) মাধ্যমে তহবিল সরবরাহ করে থাকে। এরকম অবস্থায় কেজিএফ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো যারা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে তাদের সহযোগিতায় বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। একইভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড হতে তহবিল বরাদ্দ পাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। লেখক : টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন
×