স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পী (১৬) হত্যা মামলার রায়ে আসামি মোঃ রকি (২২)-কে মৃত্যুদণ্ড ও আরও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত খুলনার বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রকিকে একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
এছাড়া একই সঙ্গে এ মামলার আসামি মোঃ নজরুল ইসলাম (২৩), রবিউল (১৮), মোঃ আল আমিন (১৮), মিলন (২০) ও মুজিবর হাওলাদারকে (১৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রবিউল, মিলন ও মুজিবর হাওলাদার পলাতক রয়েছে। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোঃ হাসান (২৩) ও ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর (২০) নামে অপর দুই জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার অন্য এক আসামি আনোয়ার শিশু হওয়ায় শিশু আদালতে বিচার হচ্ছে বলে জানান আদালতের এপিপি এ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলের স্কুল মাঠে বাপ্পী ও তার বন্ধু রাজু একসঙ্গে বসে গল্প করছিল। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে রাজুকে মারতে আসে দুর্বৃত্তরা। তখন বাপ্পী বাঁধা দিলে দুর্বৃত্তরা বাপ্পীর মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেয় বাপ্পি। ওই দিন রাত ১১টা ৫ মিনিটে বাপ্পী মারা যায়। এঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেণ। ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পুলিশ ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি মামলার চার্জ গঠন করা হয়। আদালতের এপিপি এ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহম্মেদ জানান, এ হত্যা মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামি রকি ও নজরুল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
