অনলাইন ডেস্ক ॥ তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার সফরের মধ্যেই স্বশাসিত এ দ্বীপটির কাছে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।
বেইজিং-ওয়াশিংটন ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার থেকে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে এ ‘লাইভ ফায়ার এক্সারসাইজ’ শুরু হয়েছে বলে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই বিবেচনা করে আসছে। তাইপে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তাইপের সুরক্ষায় সহায়তা দিতে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার দিকে মনোযোগ বাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আনাগোনাও বাড়ছে।
শুক্রবার স্বশাসিত দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচের বৈঠক হওয়ার কথা। তিনদিনের সফরে ক্রাচ বৃহস্পতিবার তাইপে’তে নেমেছেন।
তিনিই গত কয়েক দশকের মধ্যে তাইওয়ান সফরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বলেছে বিবিসি।
মার্কিন এই দূতের তাইওয়ান সফর নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রেন গুকায়াং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ‘অশুভ আঁতাত এবং ঘন ঘন ঝামেলা সৃষ্টির’ অভিযোগ এনেছেন।
‘তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণ’ আর ‘বিদেশিদের উপর ভর করে নিজেদের গড়ে তোলা’- এ ধরনের ভাবনাকে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
রেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তারা জ্বলে যাবে,”
“মূল ভূখণ্ডের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় চীন যে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে তা বৈধ ও প্রয়োজনীয়,” বলেছেন এ মুখপাত্র।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: