ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনল আইসিসি

লালা নিষিদ্ধ, টেস্টে ‘করোনা বদলি’

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১১ জুন ২০২০

লালা নিষিদ্ধ, টেস্টে ‘করোনা বদলি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বজুড়ে ছাড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাসের মাঝে কিভাবে ক্রিকেট মাঠে গড়াবে, খেলোয়াড়দের জন্যই বা কি সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে, এ সবই ক্রিকেটে সম্প্রতি আলোচিত ইস্যু। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য গত মাসেই আইসিসির কাছে সুপারিশ করেছিল অনীল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন সংস্থাটির ক্রিকেট কমিটি। সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে আইসিসির নির্বাহী কমিটি। অর্থাৎ করোনার সময়ে মাঠে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। বোলার-ফিল্ডাররা এখন আর বলে লালা বা থুথু ব্যবহার করতে পারবেন না, টেস্টে দেখা যাবে ‘করোনা বদলি’ খেলোয়াড়, স্থানীয় আম্পায়ার দ্বারা ম্যাচ পরিচালিত হবে, থাকবে বাড়তি ডিআরএস রিভিউ এবং টেস্টের জার্সিতে স্পন্সর শিথিলকরণ। বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ ॥ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে এখন থেকে বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে অথবা বলকে চকচকে করতে লালা ব্যবহার করতে পারবেন না খেলোয়াড়রা। মনের ভুলে কেউ লালা ব্যবহার করলে প্রাথমিক পর্যায়ে আম্পায়াররা ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি সামলাবেন। কিন্তু একই ঘটনা আবার ঘটালে সেই দলকে সতর্ক করা হবে। প্রতি ইনিংসে একটি দলকে সর্বোচ্চ দু’বার সতর্ক করা হবে। এরপরও একই কাজ করলে পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান প্রতিপক্ষ দলের ইনিংসে যোগ হবে। কেউ লালা ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়াররা বল জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেবেন। এরপর পুনরায় খেলা শুরু করা যাবে। টেস্টে কোভিড-১৯ বদলি ॥ টেস্ট চলাকালীন কোন ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তার জায়গায় বদলি নামাতে পারবে সংশ্লিষ্ট দল। এক্ষেত্রে ‘কনকাশন বদলি’র নিয়মই অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ বদলি ক্রিকেটার হবেন একই ধরনের; ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ব্যাটসম্যান, বোলারের পরিবর্তে বোলার। এটির অনুমোদন দেবেন ম্যাচ রেফারি। তবে ওয়ানডে ও টি২০ ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। করোনাকালে মাঠের ক্রিকেটে এটি অনেক বড় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। স্থানীয় ম্যাচ অফিসিয়াল ॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ভ্রমণের ওপরে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই নিরপেক্ষ অফিসিয়াল দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার নিয়মটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এলিট প্যানেল ও আন্তর্জাতিক প্যানেলের ম্যাচ অফিসিয়ালদের মধ্য থেকে স্থানীয়দের নিয়োগ দিতে পারবে আইসিসি। অতিরিক্ত ডিআরএস পর্যালোচনা ॥ প্রতিটি ইনিংসে প্রতিটি দলের জন্য অতিরিক্ত ব্যর্থ ডিআরএস পর্যালোচনার বিষয়টি নিশ্চিত জানানো হয়েছে, ব্যর্থ আপীলের সংখ্যা বাড়িয়ে টেস্টে তিনটি এবং সাদা বলের ফর্মেটের জন্য দুইটি করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যালোচনার সময় আইসিসি ক্রিকেট অপারেশন্স দল ম্যাচ রেফারিদের সমর্থন করবে এবং একটি নিরপেক্ষ এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দূরবর্তীভাবে কোন শুনানি পরিচালনা করবে। টেস্ট জার্সিতে স্পনসরশিপ শিথিলকরণ ॥ আগামী এক বছরের জন্য পোশাকের লোগোগুলোতে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। একটি লোগো ৩২ বর্গইঞ্চির চেয়ে বেশি বড় হতে পারবে না। বিধি অনুসারে অনুমোদিত আরও তিনটি লোগো ছাড়াও টেস্ট ম্যাচের শার্ট এবং সোয়েটারের বুকে লোগো রাখা যাবে। যেটি ছিল ওয়ানডে ও টি২০তে।
×