ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ নিহত ৪

প্রকাশিত: ২০:০৭, ৫ জুন ২০২০

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ নিহত ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী- ধানকাটা শ্রমিকসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা, দেলদুয়ার, নাগরপুর এবং ঘাটাইল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- শিক্ষার্থী অনিক (১৫) সদর উপজেলার ধরেরবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকার আইয়ুব মিয়ার ছেলে, ঘাটাইল উপজেলার সাধুর গলগন্ডা গ্রামের কুজরত আলীর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫) এবং নাগরপুর উপজেলার কোকাদাইর গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে নাসির মিয়া (৩৫) এবং একজনের নাম পাওয়া যায়নি টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে অনিক (১৫) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ধরেরবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই এলাকার. আইয়ুব মিয়ার ছেলে ও ধরেরবাড়ী হাই স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হক বলেন, বাড়ি পাশে ধান ক্ষেতে মা বাবার সাথে অনিক তাদের স্ক্রীমের খড় শুকাচ্ছিলেন। হঠাৎ আকাশ থেকে একটি বজ্র তার উপর পড়লে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামে সন্ধ্যায় বজ্রপাতে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে উপজেলায় ধান কাটতে দেলদুয়ারে এসেছিলেন। জানা যায়, চারজন শ্রমিক জমিতে ধান কাটতে ছিল। বজ্রপাত দেখে তারা স্যালো মেশিন ঘরে আশ্রয় নেয়। প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাইরে এলে বজ্রপাতে একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঘটনার সতত্য স্বীকার করেছেন আটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক। অন্যদিকে বিকেলে ঘাটাইল উপজেলার সাধুর গলগন্ডা গ্রামে বজ্রপাতে সখিনা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সখিনা বেগম (৪৫) ওই গ্রামের কুজরত আলীর স্ত্রী। স্থানীয়রা বলেন, সখিনা বেগম ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই তাদের গরু আনতে মাঠে যায়। পরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সন্ধ্যায় নাগরপুর উপজেলার কোকাদাইর গ্রামে নাসির মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা বলেন, বৃষ্টির মধ্যে নাসির ধান দেখতে চকের মধ্যে যায়। পরে সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
×