ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার ভয়াবহ প্রভাব যশোরাঞ্চলের পোল্ট্রি শিল্পে

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২৬ মার্চ ২০২০

করোনার ভয়াবহ প্রভাব যশোরাঞ্চলের পোল্ট্রি শিল্পে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ করোনার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি শিল্পে। যশোরাঞ্চলে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ পোল্ট্রি মুরগীর বাচ্চা মারা পড়ছে। এসব বাচ্চা দ্রুততম সময়ে হ্যাচারি থেকে খামারে স্থান্তারিত না হওয়ায় মারা পড়ছে বলে জানিয়েছেন হ্যাচারি মালিকরা। তারা বলছেন, ৩২ টাকা খরচে উৎপাদিত প্রতিটি বাচ্চা ফ্রি দিলেও খামারীরা নিতে চাচ্ছেন না। আবার স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনছেন হ্যাচারি মালিকরা। একই সাথে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত খামারী ও ফিড উৎপাদনকারীরাও লোকসানের বোঝা বইছেন। সম্ভাবনাময় এ শিল্প বন্ধের আশঙ্কায় দিন গুনছেন জড়িত এক হাজার খামারের পাঁচ হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার। যশোরাঞ্চলে আফিল হ্যাচারি, কাজী হ্যাচারিসহ ছোটবড় পাঁচটি হ্যাচারিতে প্রতিদিন ৪ লাখ বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতিটি বাচ্চা উৎপাদনে হ্যাচারি মালিকদের খরচ হয় ৩২ টাকা। করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি মুরগির বিকিকিনিতে এক প্রকার ধ্বস নেমেছে। হ্যাচারি থেকে খামারিরা এক প্রকার বাচ্চা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যশোরের সবচেয়ে বেশি বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আফিল এগ্রো লিমিটেড প্রতিদিন এক লাখের বেশি বাচ্চা উৎপাদন করে। খুলনা বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম মোল্লা জানান, করোনার প্রভাবে যশোরাঞ্চলে পোল্ট্রি শিল্পে আঘাত পড়েছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, পোল্ট্রির মাংস ও ডিম খেলে কোন ক্ষতি নেই। বরং উপকার। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লোক পোল্ট্রির মাংস নিয়ে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই। তিনি সবাইকে দুধ ডিম মাছ মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন।
×