ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পী নাজনীন

সমুদ্রের গান

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২০ মার্চ ২০২০

সমুদ্রের গান

আধো-অন্ধকারে সি রিসোর্টের বারান্দায় পাতা ইজিচেয়ারটায় গা এলিয়ে সমুদ্রের দিকে আনমনে চোখ রাখে রুহি। রুমের ঠিক উল্টোপাশের লাউঞ্জ থেকে হল্লা ভেসে আসে। যৌবনের এই উন্মাদনা বড় প্রিয় তার, বড় পরিচিত। কিন্তু এই মুহূর্তে অসহ্য লাগে। ইচ্ছে করে রুম থেকে ছুটে গিয়ে থামিয়ে দেয় সব। নিভিয়ে দেয় আনন্দের সকল ঝাড়বাতি। ইচ্ছের লাগামটা কষ্টে টেনে ধরে রুহি, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ভাবনার রাশ। দ্রুত চেয়ার থেকে ওঠে। রুমে ঢুকে ফ্রিজ খোলে ঝটকায়। বরফ, সোডা, সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে চোখ সওয়া অন্ধকারেই চুমুক দেয় হুইস্কির গ্লাসে। মদে তার নেশা নেই একদম। তবু, এইসব উদোম একাকীত্বের সময়গুলোতে মদই একমাত্র আশ্রয়। হুইস্কি প্রিয় তার। নেশা হয় না একদম। বেশি খায়ও না সে। বড়জোড় চার পেগ। দারুণ প্রহরী। সতর্ক প্রহরায় সরিয়ে রাখতে চায় হৃৎপি-ের গোপন, গহীন ক্ষত। সারিয়ে তুলতে চেষ্টা করে কষ্টের নিদারুণ নীল সব দাগ। সমুদ্রের দিকে চোখ পড়ে। অপলক তাকিয়ে থাকে রুহি, অনড়। হঠাৎ দেখলে তাকে প্রস্তরযুগের কোন নিপুণ শিল্পীর নিখুঁত খোদাই বলে ভ্রম হয়। সৈকতে কাটানো বিকেলটা চোখে ভাসে। প্রতিবছরই আসা হয় প্রায়। ইচ্ছে না থাকলেও। এইসব স্টাডিট্যুরগুলোতে তার মতো নির্ভার, ভরসাযোগ্য মানুষ সম্ভবত ডিপার্টমেন্টে মেলে না আর। প্রতিবছরই কোনো না কোনো ব্যাচের একপাল ছেলেমেয়ে নিয়ে হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে হয় সাগর, নয়তো পাহাড়, আর তা না হলে সুন্দরবন দেখতে বেরোতে হয় তাকে। দেখতেও নয় আদতে, দেখাতে। নির্ভরযোগ্য গাইড সে। হাহা হাসে রুহি। গাইড! নিজেই পথ হারিয়ে খুঁজে ফিরছে আজীবন তালকানার মতো, আর সে-ই কিনা গাইড সেজে বসেছে রীতিমতো! হাহাহা। গলা ছেড়ে হাসে আবার। সমুদ্রের গম্ভীর গর্জনের সঙ্গে রুহির হাসির শব্দ হারিয়ে যায় মুহূর্তেই। বিকেলের সোনাঝরা আলোয় সমুদ্রকে অদ্ভুত লাগে। যতবার দেখে, মুগ্ধ হয়। আজও একহাঁটু জলে নেমে সূর্যাস্ত দেখছিল। লালরঙা সূর্যটা সমুদ্রের নোনাজলে সোনারঙ ঢালতে ঢালতে দ্রুত নেমে যাচ্ছিল নিচে, মিশে যাচ্ছিল দিগন্তরেখায়। সমুদ্র আর সূর্যের এই সঙ্গম মুহূর্তটা খুব প্রিয় রুহির। নিজেকে ভারি তুচ্ছ আর অপূর্ণ মনে হয় তখন। মুহূর্তটা বড় অপার্থিব লাগে তার। প্রকৃতি এ সময়টায় ¯িœগ্ধ আর পবিত্র হয়ে ওঠে। কান্না পায়। সমর্পিত হতে ইচ্ছে করে কোন এক অজানায়। কী এক অচেনা বোধ উথলে ওঠে বুকের ভেতর। চোখ ভিজে আসে নোনাঘামে। মাথা নুয়ে পড়ে প্রকৃতির অপার রহস্যের উৎসমূলে। যতবার সমুদ্রের কাছে আসে রুহি, এই একই বোধে তাড়িত হয় প্রতিবার। অপার আনন্দে ছেয়ে যায় মন। আনমনে সমুদ্রের চোখে মুগ্ধ চোখ রেখেছিল রুহি। রাশি রাশি সোনারঙ ছড়িয়ে আগুনরঙা বৃত্তটা হারিয়ে যাচ্ছিল জলের অতলে। সোনালি আলোর ছটায় ঝলমলিয়ে উঠছিল সমুদ্রের নোনামুখ। একহাঁটু জলে নেমে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল সে, ধ্যানস্থ। ছেলেমেয়েরা খানিকটা দূরে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল যে যার মতো, প্রিয় কারও হাত ধরে নিংড়ে নিচ্ছিল আনন্দের উছল ধারা। প্রথমটায় শোরগোলটায় কান দেয়নি রুহি। এখানে এডাল্ট সবাই, যে যার ইচ্ছেমতো ঘুরুক, আনন্দ করুক, শুধু দলছাড়া না হলেই হলো, কিংবা অন্যের কাছে অস্বস্তিকর, তেমন কিছু না করলেই হলো, তেমনই নির্দেশ আছে রুহির। সঙ্গে গাইড হিসেবে বরুণ স্যারও আছেন এবার, নাম কা ওয়াস্তে। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তিনিও লাফান-ঝাঁপান, নানারকম ছেলেমানুষিতে জুড়ি নেই তার। তাকেও আরেকজন ছাত্র হিসেবেই সঙ্গে রাখে রুহি। ডিপার্টমেন্টের অনেক মেয়েই অভিযোগ করেছে, ট্যুরে গিয়ে তাদের প্রতি আচরণ বড়ই করুণ হয়ে ওঠে বরুণ স্যারের। প্রায় সবার প্রতিই তিনি সমান প্রেমে নিবেদিত হন, প্রত্যাখ্যাত হয়ে করুণমুখে ফিরে গিয়ে আবার ছেলেদের সঙ্গে হুল্লোরেও মাতেন মুহূর্তেই। ট্যুরে রুহি মানে যেমন অবাধ স্বাধীনতা, বরুণ স্যার মানে তেমন বাড়তি আনন্দ। ট্যুর গাইড হিসেবে সবাই তাই রুহি ম্যাম, আর বরুণ স্যারকে চায় সচরাচর। শোরগোলটায় প্রথমে তেমন কান দেয়নি রুহি। ভেবেছে বরুণ স্যারের নতুন কোন ছেলেমানুষি দেখে হুল্লোরে মেতেছে ছেলেমেয়েরা। কিন্তু শেষটায় নির্লিপ্ত থাকা গেল না আর। শোরগোলটা বাড়ল ক্রমশ। ম্যাম! ম্যাম! -বলে দৌড়ে এলো মেয়েদের ক্যাপ্টেন দিঠি। বিরক্ত রুহি চোখ ফেরাল অগত্যা। কী হয়েছে রে তোদের? এত চেঁচামেচি করছিস কেন সব? ম্যাম শিগগির আসেন! মৌমি সুইসাইড করতে যাচ্ছিল! বরুণ স্যার বাঁচিয়েছেন! -হাঁপাতে হাঁপাতে বলল মেয়েটা। দারুণ উত্তেজিত। কী সব বাজে বকিস বলতো! মৌমি কেন সুইসাইড করতে যাবে, এ্যাঁ? ওর দুঃখ কিসের? দেখ ওটা বরুণ স্যারের নতুন নাটক। মেয়েটা হয়তো সাঁতার টাতার জানে না, একটু বেশি জলে নেমে গেছিল, অমনি তোদের স্যারের নায়ক সাজার বাতিক জেগেছে। না না ম্যাম! ওসব নয়! ব্যাপারটা সিরিয়াস! আপনি শিগগির আসেন, প্লিজ। অগত্যা শোরগোলের কাছাকাছি যাওয়া গেল। মৌমি শুয়ে আছে সৈকতে। চোখ বোঁজা। চোখ-মুখ-চুলে বালির পরত। বরুণ স্যার বাহারি শার্টে পাশে হাঁটু মুড়ে দারুণ গর্বিত ভঙ্গিতে বসা। তার পাশে দোলন। মুখ শুকিয়ে আমচুর, কাঁদোকাঁদো প্রায়। বাকিরা ঘিরে আছে ঘটনার পাত্র-পাত্রীদের। কী হয়েছে? -গম্ভীর, বিরক্ত কণ্ঠ রুহির। আর বইলেন না ম্যাম! কী বোকা মেয়ে দেখুন তো! আরেকটু হলেই সব শেষ হয়ে যেত! হয়েছেটা কী? মেয়েটার সমস্যা কী? ম্যাম, দোলনের সঙ্গে ওর ঝগড়া হয়েছিল, দোলন বলেছিল ওর সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবে না। তাই সুইসাইড করতে জলে ঝাঁপ দিয়েছিল। -ভিড়ের ভেতর থেকে হড়বড় করে কথাগুলো বলল অনেকে, একসঙ্গে। আশ্চর্য তো! দোলনের সঙ্গে ঝগড়া হলে ওকে সুইসাইড কেন করতে হবে তাইতো বুঝতে পারছি না! ওদের প্রেম চলছে ম্যাম, বোঝেন না? -ত্বরিত জবাব বরুণ স্যারের। ও। তাহলে তো দোলনেরই উচিত ছিল ওকে বাঁচানোর জন্য জলে ঝাঁপ দেয়া। আপনি মাঝখান থেকে বেচারার সুযোগটা নষ্ট করতে গেলেন কেন? -বলে নিজের পথ ধরল রুহি। পেছনে হাসির ফোয়ারা বইছে ততক্ষণে। মৌমির তেমন কিছুই হয়নি। সামান্য জল গেছে পেটে। বেরিয়েও গেছে। সেরে উঠবে খানিক বাদেই। পনেরো বছরের চাকরি জীবনে এসব নাটক ঢের দেখা আছে রুহির। খানিক বাদেই আমে-দুধে মিশে যাবে মৌমি আর দোলন। মাঝখান থেকে ছেলেমেয়েদের হাসির খোরাক হবে বরুণ স্যার। আবার সমুদ্রজলে পা ডুবায় রুহি। কিন্তু মনটা কেমন খারাপ হয়ে যায়। সৈকতে ছেলেমেয়েদের হৈ চৈ, উল্লাস, তাকে আর ছোঁয় না তেমন। কোনোবারই ছোঁয় না আসলে। নিজের মনে থাকে সে, আত্মমগ্ন। সমুদ্র ভালো লাগে, সমুদ্রের এই উদ্দাম উদারতায় আপ্লুত, অভিভূত হয় বরাবর, কিন্তু একাকীত্বের যন্ত্রণাও তাকে ছেঁকে ধরে বহুগুণ। ভেতরে ভেতরে সে পুড়ে যায়, ক্ষয়ে যায়। সৈকতে হাতে হাত রাখা অসংখ্য জুটি, তার একপাল ছাত্র-ছাত্রী, কোলাহল, আরও বেশি বিষণœ, বিমর্ষ, নিঃসঙ্গ, করে তোলে। বাইরে থেকে বোঝা যায় না। ছেলেমেয়েদের আনন্দে তাকে হাসতে হয় জোর করে, গাইতে হয় ইচ্ছের বিরুদ্ধে, ভাসতে হয় সুখের ¯্রােতে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে এইসব মেকি আনন্দ, প্রাণহীন সুর আর ফাঁপা সুখের ভারে সে হাঁপিয়ে ওঠে ভীষণ। সময় যে আর কাটে না, বড় একা একা লাগে, এই মুখর জনারণ্যে, তুমি পাশে নেই বলে... পরক্ষণেই হেসে ওঠে শব্দ করে। হুইস্কির গ্লাশটা আবার ভর্তি করে আনমনে। কে পাশে নেই বলে এত একা লাগে তোমার, রুহিসোনা? -প্রশ্নটা মনে পড়ে হাসে। হাহাহা। পলাশও কি তাই ভাবে? তার জন্যই বিয়ে করল না আর অধ্যাপক রুবিন মেহজাবিন রুহি? হাহাহা। হাসিতে ঘর কাঁপিয়ে তোলে রুহি। ভাবে হয়তো। অনেকেই ভাবে। ভাবুক! কী এসে যায় তাতে! শেষের দিকে পলাশকে করুণা করত বরং সে। পলাশের প্রেমিক মুখোশটা ক্রমেই খসে পড়ছিল যখন, আস্তে আস্তে যখন বেরিয়ে পড়ছিল তার নগ্ন মুখ, ভালোবাসা উবে যাচ্ছিল তখন ধীরে। পলাশও প্রকাশ হচ্ছিল, হয়তো ইচ্ছে করেই! শেষের দিকে পলাশ বলত, তোমাকে ভালোবাসি না রুহি, প্রেমিক নই আমি তোমার! তাহলে কেন বলেছিলে পলাশ, ভালোবাসি? কেন বলেছিলে, পাশে থাকব তোমার? বন্ধু নও, প্রেমিক নও, কে তবে তুমি আমার? আর আমি? আমিই বা কে তবে? বাজারের কেউ? কী বলেছিলাম মনে নেই। কিন্তু এটাই সত্যি এখন রুহি। ভালোবাসা আর করুণার মাঝামাঝি একটা অনুভূতি আছে তোমার প্রতি, সেটা আর যাই হোক, ভালোবাসা নয় রুহি। তোমাকে কোনো প্রয়োজন নেই আমার। পরের প্রশ্নগুলো কৌশলে এড়িয়ে যেত পলাশ। অপমানের তীব্র ছুরি বিঁধে যেত রুহির হৃৎপি- বরাবর। বোকা ছেলেটা বুঝত না, এসবে নিজেকেও কতটা নিচে নামিয়ে ফেলত সে, তার নিজেরই হতো তাতে কতটা অসম্মান। সে সময় কষ্ট হয়েছিল। ভীষণ! ইচ্ছে হয়েছিল সুইসাইড করে। কিন্তু শক্ত করেছিল রুহি নিজেকে। অনেক পাগলামির পর পলাশের কপট, স্বার্থপর মুখটা সে গেঁথে নিয়েছিল মনের ভেতর। ভালোবাসার মুদ্রাটা উল্টে নিয়েছিল অবশেষে। সে পিঠে ঘৃণা ছিল, ছিল তিক্ত কিছু স্মৃতির ধুলো। এখন পলাশকে মনে পড়লেই একদলা ঘৃণা জমে মনে, থুতু। এক পলাশ তাকে চরম শিক্ষা দিয়ে গেছে জীবনে। সব পলাশদের জন্য বুকের ভেতর জাগিয়ে দিয়ে গেছে ঘৃণার তীব্র গরল। অথচ সবাই ভাবে, পলাশের প্রেমে অন্ধ রুহি বিরহানলে জ্বলে একাকী কাটিয়ে দিচ্ছে জীবন। হাহাহা। ভাবুক। কীইবা আসে যায় তাতে রুহির! রুমের বাইরের আনন্দধ্বনি জোরালো হচ্ছে ক্রমশ। ছেলেমেয়েরা আড্ডা দিচ্ছে, গাইছে, আনন্দ করছে গলা ছেড়ে। হঠাৎ হুল্লোড় থেমে গেল। একমনে বাঁশি বাজাচ্ছে কেউ। বাকিরা বুঁদ সে সুরে। টুনি। মেয়েটা দারুণ বাজায়। গ্লাসটা হাতে নিয়ে রেলিং ঘেঁষে দাঁড়াল রুহি। বহুকাল আগের একটা রাত মনে পড়ল। স্টাডি ট্যুরে সেবার রাঙামাটি এসেছিল তারা। এমনি রাতের অন্ধকারে রুমের সামনের টানা লনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল, গাইছিল গলা ছেড়ে। পলাশ বাঁশিতে সুর তুলেছিল তুমুল। সুরের সাধনা যারা করে তাদের ভেতর কী করে অসুরের বাস হতে পারে ব্যাপারটা ভেবে পায় না রুহি। অস্বাভাবিক লাগে। পলাশ সমুদ্রের কোলে বেড়ে উঠেছিল, রুহি সমতলে। পলাশের কাছে সে আশা করেছিল সমুদ্রের উদারতা, অসীমতার ব্যাপ্তি। তার মসৃণ মন পলাশের মনের অন্ধকার, কপটতা মানতে পারেনি একদম। পলাশ বাঁশি বাজাচ্ছিল, পাশে তার গায়ে এলিয়ে বসেছিল নীল। পলাশ মাঝে মাঝে আদর করে তাকে ডাকছিল ’নীলি’। দারুণ হাসি পেয়েছিল রুহির। এরপর কাকে আদর করে এমন আরও আরও নাম দেবে পলাশ, ভেবে হাসিটা জোরালো হয়েছিল আরও । আসার পথে, বাসের ভেতর পলাশ আর নীলের পাশাপাশি বসা, তাদের নিয়ন্ত্রণহীন, দৃষ্টিকটু আচরণে, বিরক্ত ছিল পুরো ব্যাচ। মলয় স্যার মৃদু ধমকও দিয়েছিলেন কয়েকবার। কিন্তু তেমন বিকার ছিল না তাদের। সম্ভবত রুহিকে দেখিয়ে দেখিয়ে আরও বেশি আদিখ্যেতা করছিল পলাশ। রুহি পাত্তা দেয়নি। ব্যবহৃত নোংরা টিস্যু ফেলে দিয়েছিল সে, সেদিকে তাকানোর রুচি ছিল না আর। শুনেছে নীলও ছেড়ে গেছিল একসময় পলাশকে। পরের খবর জানা হয়নি আর। পলাশদের আদতে তেমন খবর থাকে না কোনো। ব্যবহৃত টিস্যু একসময় পরিত্যক্ত হয় নর্দমায়। নিয়তি। গ্লাসটা শেষ করে দরজা খুলে ছেলেমেয়েদের আড্ডায় গিয়ে দাঁড়ায় রুহি। হৈ হৈ করে ওঠে সবাই একসঙ্গে। মাঝে মাঝে জীবনের ছোঁয়া পেতে ইচ্ছে করে খুব। তারুণ্য টানে। টুনির বাঁশির সুরে গলা মেলায় রুহি। আনন্দধারা বহিছে ভুবনে... সাগরটা উত্তাল হয় আরও। আছড়ে পড়ে ফেনিল ঢেউয়ে।
×