ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুরান ঢাকার অগ্নিঝুঁকি কমেনি

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ২২ জুন ২০১৯

 পুরান ঢাকার অগ্নিঝুঁকি  কমেনি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকের দানা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় হাইড্রোজেন সায়ানাইড। এতে বাতাসের সঙ্গে এই গ্যাস ছড়ানোর কারণেই মৃত্যু হতে পারে যে কারও। কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে ২৯টি দাহ্য পদার্থের তালিকায় নেই প্লাস্টিকের দানা। এতে নিমতলী ট্র্যাজেডির পর এক দশকেও অগ্নিঝুঁকি কমেনি পুরান ঢাকায়। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের এক দশক পর ২০১৯ সালে পুড়ে ছাই হয় চকবাজারের চুরিহাট্টা। কেবল রাসায়নিকের গুদাম নয়, লাইটার, পারফিউম রিফিল ও দাহ্য জাতীয় পদার্থের মজুদও পুরান ঢাকায় বারবার আগুনের অন্যতম কারণ। এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সঙ্কীর্ণ রাস্তা আগুন নেভানো ও উদ্ধার কাজের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। ফলে পুরান ঢাকার অলিগলি রূপ নিচ্ছে মৃত্যুপুরীতে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পুরান ঢাকা থেকে ২৯টি দাহ্য পদার্থ সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিলেও তালিকায় নেই প্লাস্টিকের দানা বা দাহ্য কাঁচামাল। অথচ প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকের দানা তৈরিতে ব্যবহৃত মূল কাঁচামাল পেট্রোলিয়াম হওয়ায় এবং পেট্রোলিয়াম দাহ্য পদার্থ হওয়ায় অগ্নিকান্ডে বাতাসের সংস্পর্শে এসে কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে মিশে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করে। যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে সমর্থ হওয়ায় আগুন নেভাতে পানি বা বালু কোনটিই কার্যকর নয়, বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগ। ফায়ার সার্ভিস বলছে ঘনবসতিপূর্ণ ও সড়ক সঙ্কীর্ণ হওয়ায় কারখানা বা গুদামের জন্য অনুপযুক্ত এলাকাটি। দিনে দিনে পুরান ঢাকার চাপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে কারখানা ও গুদামের সংখ্যা এবং বৈদ্যুতিক তারেরও ব্যবহার।
×